Read in English
This Article is From Aug 08, 2019

'Rainbow Wedding': দেখুন, বাংলায় প্রথম রূপান্তরকামী বিয়ে...ছাদনাতলায় গিয়ে

বর বরণ থেকে থেকে ছাদনাতলায় মালা বদল, সপ্তপদী, সিঁদুরদান---সবই হয়েছে রীতি মেনে। পাত পেড়ে খেয়েওছেন আমন্ত্রিতরা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by

'Rainbow Wedding': রীতি মেনে সাতপাক ঘুরলেন তিস্তা দাস-দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা:

বর বরণ থেকে ছাদনাতলায় মালা বদল, সপ্তপদী, সিঁদুরদান---সবই হয়েছে রীতি মেনে (traditional Bengali ceremony)। পাত পেড়ে খেয়েওছেন আমন্ত্রিতরা। দুই পরিবারের হই-হুল্লোড়ে বিয়ের আসর জমজমাট। ঠাট্টা-ঠিসারায় কতটা লাজে রাঙা হয়েছেন কনে? ভালোবাসার পাত্রীকে জীবনসঙ্গিনী পেয়ে খুশি তো জামাই বাবাজীবন? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল তিস্তা দাস-দীপন চক্রবর্তীর হাসিমাখা মুখে। এই বিয়ে নিয়ে এত চর্চা কেন? কারণ, বাংলায় এই প্রথম (state's first) ছাদনাতলায় গিয়ে বর-বধূ (rainbow wedding) হলেন রূপান্তরকামী যুগল (Indian transgender couple)। 

ভারত এবং পাকিস্তানের এক সমকামী দম্পতির ছবি জিতল ট্যুইটার দুনিয়ার মন

উলুধ্বনির মাঝে যখন শুভদৃষ্টি হচ্ছিল ৩৮-এর তিস্তা আর ৪০-এর দীপনের, আবেগে চোখ ছলছল দু-জনেরই। কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই বিয়ে ততক্ষণে ইতিহাস গড়েছে বাংলা রূপান্তরকামী সাম্রাজ্যে। 

Advertisement

বিয়ের পরেই তিস্তা জানান, "অসম্ভব ভালো লাগছে। অবশেষে লিঙ্গ ভেদের বাইরে বেরিয়ে জয়ী হল ভালোবাসা। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সাতপাকের এই বন্ধন আমাদের ভালোবাসাকে যেন আরও পোক্ত করল। এই ভালোবাসা শুধুই দুটি শরীরের নয়। এই মিলন দুই আত্মার। " 

লড়াইয়ের কতটা পথ পেরিয়ে তবে মিলল এই স্বীকৃতি? উত্তরে তিস্তার অকপট স্বীকারোক্তি, "আমার বউ দীপন যে অন্তরে-বহিরাঙ্গে নারী, প্রমাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। আমাকেই তো সমাজ মানুষ বলেই গণ্য করেনি কোনোদিন!" তিস্তার কথার সুর তিস্তার আরেক রূপান্তরকামী বন্ধু অনুরাগ মৈত্রেয়ীর গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, মন ভরে গেছে বিয়ের সুন্দর অনুষ্ঠান দেখে। এটার প্রয়োজন ছিল।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বলা যায়, দেশে তৃতীয় লিঙ্গের আনুমানিক সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সংখ্যাবহুল হয়েও তাঁরা আজও সমাজের প্রান্তিক। সমাজ জায়গা না দেওয়ায় চাকরির অভাবে বাস-ট্রেন-রাস্তায় ভিক্ষা নয়ত গণিকা বৃত্তি অবলম্বন করতে বাধ্য হন তাঁরা। অথচ, ভারতের প্রচীন ইতিহাস বলছে, আর্য যুগে তৃতীয় লিঙ্গেরা বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠান সহ সমস্ত শুভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এঁরা।

অনেক লড়ে এই জন্মেই রাধা হয়েছি: আইনজীবী সায়ন্তন ঘোষ মেঘ

Advertisement

যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪-র ঐতিহাসিক রায়ে স্বীকৃতি দিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গকে। গত মঙ্গলবারই, সংসদের নিম্নকক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন বিল পাস হয়। বিলটি বর্তমানে উচ্চকক্ষের ছাড়পত্র মেলার অপেক্ষায়। তবে খুব সম্প্রতি, এক হোটেল থেকে যেভাবে রূপান্তরকামী দম্পতিকে বের করে দেওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই বিয়ের পরেও স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারছেন না সমাজের এই বিশেষ লিঙ্গের মানুষজন।

Advertisement

Advertisement



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement