৮ জুন কেরলে পৌঁছেছে বর্ষা। স্বাভাবিক সময়ের থেকে অন্তত এক সপ্তাহ দেরিতে।
হাইলাইটস
- ৮ জুন কেরলে পৌঁছেছে বর্ষা।
- স্বাভাবিক সময়ের থেকে অন্তত এক সপ্তাহ দেরিতে।
- ঘূর্ণিঝড় বায়ু শক্তিহীন হয়ে পড়ায় মৌসুমি বায়ুর গতি বেড়েছে।
নিউ দিল্লি: ঘূর্ণিঝড় বায়ু শক্তিহীন হয়ে পড়ায় মৌসুমি বায়ুর গতি বাড়ল। আপাতত আরব সাগরের কাছে তার অবস্থান। এই সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত হয়ে মধ্য ভারতে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল মৌসুমি বায়ুর। কিন্তু বায়ুর বাধায় সবে মহারাষ্ট্রের কাছে পৌঁছেছে সে। India Meteorological Department জানাচ্ছে, মৌসুমি বায়ু অবস্থান করছে ম্যাঙ্গালোর, মাইসোর, কাডালোর, পাসিঘাটেও। গত ক'দিন মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাতে বৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য। একমাত্র উপকূলবর্তী কেরল ও কর্নাটকে বৃষ্টি হয়েছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে। বায়ু গুজরাতের উপকূলে সোমবার পৌঁছলে সেটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। তাতেই আরব সাগরের দিকে মৌসুমি বায়ুর গতি বৃদ্ধি পাবে। ৮ জুন কেরলে পৌঁছেছে বর্ষা। স্বাভাবিক সময়ের থেকে অন্তত এক সপ্তাহ দেরিতে।
চার শহরে রেকর্ড তাপমাত্রা, সবচেয়ে ভয়ানক তাপপ্রবাহের সাক্ষী দেশ
IMD-র অতিরিক্ত অধিকর্তা দেবেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘মৌসুমী বায়ুর গতিপত আটকে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বায়ু। যেহেতু এবার সেটি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, ফলে আগামী ২-৩ দিনে মৌসুমি বায়ু এগোতে শুরু করবে।'' আগামী ১-২ দিনের দিনের মধ্যে মধ্য ভারত, উত্তর, উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে বর্ষা এসে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বর্ষার ঘাটতি ৪৩ শতাংশ। পশ্চিম ও পূর্ব মধ্যপ্রদেশে যথাক্রমে ৭৫ ও ৭০ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে ৭২ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। বিদর্ভে ঘাটতি ৮৭ শতাংশ।
এবছর বর্ষার আগমনে দেরি হবে এক সপ্তাহ, তবে স্বাভাবিক বৃষ্টিরই সম্ভাবনা
গত দশ বছরে জলস্তর সর্বাধিক নেমে গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য ও মহারাষ্ট্রে। তাপপ্রবাহ চলছে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশায়।