গণনার পূর্বাভাস দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় লাভের পথে রয়েছে কংগ্রেস; শচীন পাইলট
জয়পুর: রাজস্থানেও বিজেপিকে পরাস্ত করল কংগ্রেস। এক্সিট পোলের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভোট গণনা শুরুর কিছু পরেই রাজস্থানে কংগ্রেস এগিয়ে থাকতেই উৎসব শুরু করে দেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। শেষমেশ জয়ের ধারাই অব্যহত রইল।
রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি শচীন পাইলট এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা দ্বিতীয় প্রার্থী শচীন পাইলট সকালেই বলেন, "প্রাথমিক প্রবণতা দেখে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেস রাজস্থানে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সরকার গঠন করবে"। কিন্তু বিজেপি যত এই ভোটের ব্যবধান কমিয়েছে লড়াই আর উতকণ্ঠা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। ১৯৯ আসনের রাজস্থানে ম্যাজিক ফিগার ১০০ ছুঁতে কংগ্রেসের এখন সময়ের অপেক্ষা। সাংবাদিক সম্মেলনের শচীন পাইলট বলেন, "কংগ্রেসে আস্থা রয়েছে এমন সব পক্ষের সাথেই আমি যোগাযোগ করছি। এই ফলাফল বিজেপির বিরুদ্ধে এবং বিজেপির অহংকারী রাজনীতির জন্য এটি একটি বড় আঘাত।"
এই জয় তাঁর দলের "নৈতিক বিজয়" বলে মন্তব্য করে শচীন বলেন, "যদিও আমরা নিশ্চিত যে আমরা নিজেরাই সরকার গড়তে পারব তবুও কংগ্রেসের সমর্থনে থাকা দলগুলির কাছে সরকার গঠনের জন্য পৌঁছাতে চাই।"
কংগ্রেস বিজেপির মাঝের ব্যবধান মাঝে মাঝেই চড়াই উতরাইয়ের মুখে পড়লেও শচীন পাইলটের সমর্থনে স্লোগান এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের জয় নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।
৪০ বছর বয়সী তরুণ কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেন, "কারা কোন দায়িত্ব পাবে তা কংগ্রেস হাই কমান্ডই সিদ্ধান্ত নেবে। রাহুল গান্ধী আলোচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন"।
তিনি আরও যোগ করেন যে, রাহুল গান্ধীর জন্য আজকের দিনে এর থেকে কোনও ভাল উপহার হতেই পারে না। ঠিক আজকের দিনেই একবছর আগে রাহুল কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রাজস্থানের দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে হলেন প্রথম মহিলা যিনি রাজ্যের শীর্ষক্ষমতায় আসেন। তৃতীয় মেয়াদেও সরকার গঠনের দিকেই হাঁটছেন তিনি। ঝালরাপাটনের আসনে পুনঃনির্বাচন চাইছেন তিনি। এই আসনে বিজেপির নেতা জসওয়ন্ত সিংয়ের ছেলে মানবেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে লড়াই ছিল বসুন্ধরা রাজের। ২০০ টির মধ্যে ১৯৯ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। একটি আসনের প্রার্থী মারা যান।