তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। (প্রতীকী)
জয়পুর: এক কিশোরীকে (Teen) অপহরণ করে ধর্ষণ (Rape) করেছিল তিন ব্যক্তি। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছিল অকথ্য মারধর। এরপর কিশোরীকে উদ্ধার করার জন্য এক দোকানদার সেখানে যেতেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। বাঁচার জন্য নগ্ন অবস্থাতেই ছুটতে শুরু করে সে। সোমবার সকালে রাজস্থানে (Rajasthan) ঘটেছে এই ঘটনা। তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিলওয়ারার বাসিন্দা ওই কিশোরী, তার বন্ধু ও খুড়তুতো বোনের সঙ্গে একটি মেলা থেকে ফিরছিল। সেই সময় এক মন্দিরের কাছে তিন ব্যক্তি তাদের পথ আটকায়। তার বোন পালাতে পারলেও মেয়েটিকে টেনে এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে।
তার বোন কাছের এক বাজারে এসে বোনের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে এক দোকানদারের কাছে। ওই দোকানদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান মেয়েটিকে হেনস্তা করে চলেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে দেখেই ওই তিন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
চাকরির দাবিতে বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ-বাম কর্মী সংঘর্ষ, আহত বহু
দোকানদার পুলিশকে জানিয়েছেন, আহত কিশোরী নগ্নাবস্থায় দৌড়তে শুরু করে পথ দিয়ে। আতঙ্কে তখন তার কোনও হুঁশ ছিল না। সে ওই অবস্থায় প্রায় অর্ধেক কিলোমিটার পথ দৌড়ে যায়। এরপর তাকে থামিয়ে তাকে জামাকাপড় তুলে দেয় ওই দোকানদার।
ভিলওয়ারার এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক হরেন্দ্র মাহওয়ার জানিয়েছেন, ওই মেয়েটি ও তাঁর বন্ধু ও বোনের সঙ্গে মন্দিরের কাছে পৌঁছলে তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি, যারা পথের ধারেই মদ্যপান করছিল, তারা তাদের তাড়া করে। বাকিরা পালাতে পারলেও ওই কিশোরী পারেনি। এরপর তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।
এক যুবককে হিড়হিড় করে টেনে এনে কষিয়ে থাপ্পড় মারলেন পুলিশ কর্মী !
নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা ও তপশিলি জাতির প্রতিনিধির প্রতি নৃশংস আচরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলাটি চলবে। এক বর্ষীয়ান আধিকারিক মামলাটির তত্ত্বাবধান করবেন।
দোকানদার, নির্যাতিতা কিশোরী ও তার বন্ধুদের বিবৃতি গ্রহণ করেছে পুলিশ।
ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ভারত সিংহ জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থসল থেকে চুড়ির ভাঙা টুকরো, মদের বোতল ও রক্তের দাগের নমুনা সংগ্রহ করেছে।