This Article is From Jul 15, 2020

"ঝরঝরে ইংরাজি আর সুদর্শন চেহারা সবকিছু নয়", নাম না করে শচীনকে কটাক্ষ গেহলটের

তাঁর মন্তব্য, "সোনায় মোড়া চামচ দিয়ে প্লটের খাবার খাওয়া যায় না।"

অশোক গেহলট দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন আছে।

জয়পুর/নয়াদিল্লি:

চোস্ত ইংরাজি আর সুদর্শন চেহারা সব কিছু নয়। ফের একবার নাম করে শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot-Ashok Gehlot conflict) কটাক্ষ করেন অশোক গেহলট। রাজস্থানের কংগ্রেস (Rajasthan Congress) পরিচালিত সরকার আপাতত নিরাপদ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের প্রতি ১০৫ জন বিধায়কের আস্থা আছে। এই সংখ্যাতত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী শচীনের প্রতি আরও আক্রমণাত্মক গেহলট। খানিকটা যুদ্ধ জয়ের ভঙিমায় তিনি বলেন, "ভালো ইংলিশ বলা, সুদর্শন চেহারা, মণীষীদের উদ্ধৃত করা সবকিছু নয়। দেশের জন্য তোমার মনে কী আছে? তোমার আদর্শ কী? নীতি, সংকল্প কী? এগুলো আসল। আশা করি কী বলছি বুঝতে পারছেন।" তাঁর মন্তব্য, "সোনায় মোড়া চামচ দিয়ে প্লেটের খাবার খাওয়া যায় না।"

শচীন পাইলটকে কেন্দ্রীয় স্তরে পুনর্বাসন দিতে তোরজোর শুরু কংগ্রেসে: সূত্র

আরও সুর চড়িয়ে গেহলট বলেন, "ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি।"

এদিকে, আমি এখন কংগ্রেসেই আছি। বুধবার সকালে এনডিটিভিকে অবস্থান জানিয়েছিলেন শচীন পাইলট। কিন্তু দলীয় তরফে তাঁর বিরুদ্ধে আরও শাস্তির খাঁড়া এখনও ঝুলছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না। মঙ্গলবারই শচীন পাইলটের বিদ্রোহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁকে জোড়া সাজা দেওয়া হয়েছিল। কাড়া হয়েছিল তাঁর উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব। অপসারিত করা হয়েছিল রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে।

''এখনও কংগ্রেসেই আছি, বিজেপি-তে যাইনি'' এনডিটিভিকে জানালেন শচীন পাইলট

এবার শচীন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিধায়ক পদ কাড়তে তোড়জোড় শুরু করল কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে রাজস্থানের পর্যবেক্ষক অবিনাশ পাণ্ডে লেখেন, "শচীনের জন্য কংগ্রেসে এখনও দরজা খোলা। নিজের ভুল উনি বুঝতে পেরেছেন এবং বিজেপির ছল অতিক্রম করতে পেরেছেন।" এদিকে, মিটমাটের চেষ্টায় উদ্যোগী কংগ্রেস শচীন পাইলটকে পুুুর্নবাসন দিতে একমাস সময় চেয়ে নিয়েছে। তাঁকে আর কোনওভাবেই প্রদেশ রাজনীতির অংশ করা যাবে না। এটা বুঝতে পেরেছে হাইকমান্ড। তাই কেন্দ্রীয় স্তরে তাঁর দায়িত্ব বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে, শর্ত ছাড়া তাঁকে ফিরতে হবে। এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শচীন পাইলটকে।

.