Rajasthan Crisis: শচীন পাইলট শিবির স্পিকারের দেওয়া অযোগ্যতার নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেন
হাইলাইটস
- শচীন পাইলট শিবিরে ফের স্বস্তির বাতাস
- আপাতত শচীন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, বলল আদালত
- এর আগে বৃহস্পতিবারও সুপ্রিম কোর্টের রায় শচীনদের পক্ষেই যায়
নয়া দিল্লি:
ফের স্বস্তি রাজস্থানের (Rajasthan Crisis ) শচীন শিবিরে। শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্ট তার রায়ে সাফ জানিয়ে দিল যে, আপাতত শচীন পাইলট এবং অন্যান্য বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। যেভাবে রাজস্থান বিধানসভার (Rajasthan Assembly) অধ্যক্ষ সিপি যোশী শচীন ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা করার নোটিশ পাঠিয়েছেন তারও সমালোচনা করে আদালত (Rajasthan High Court)। রাজস্থান হাইকোর্ট বলেছে, বিধায়ক হিসাবে অযোগ্য ঘোষণার নোটিশের বিরুদ্ধে শচীন (Sachin Pilot) ও তাঁর সঙ্গে থাকা বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের আবেদনের বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষের দেওয়া নোটিসে "স্থগিতাদেশ" জারি থাকবে। একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে শচীন পাইলটের তরফে করা আবেদনে কেন্দ্রকেও যুক্ত করার কথা বলা হলে মামলার রায় ঘোষণা করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। এদিকে বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট পাইলট শিবিরকে সাময়িক স্বস্তি দিয়ে জানায় যে রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের উপর কোনও হস্তক্ষেপ করবে না তাঁরা। এপ্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের অন্যতম বিচারপতি এ কে মিশ্র বলেন, "ধরুন কোনও নেতার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে কয়েকজন প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তবুও তাঁরা একই দলে থাকাকালীন তাঁদের বিধায়ক হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে না। কেননা এরফলে পরবর্তী সময়ে এটা একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠবে এবং কেউ কারোও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারবে না। গণতন্ত্রে বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠকে কখনোই এভাবে রোধ করা যায় না।" তারপরেই ওইদিন সন্ধেবেলাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ইঙ্গিত দেন যে তিনি আস্থা ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাজস্থানের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে দেখে নিন এই ১০ টি তথ্য:
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ডাকা দুটি বৈঠকেই যোগ দেননি শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা। এই ঘটনার পরেই শচীন ও তাঁর দলবলকে অযোগ্য বিধায়ক ঘোষণা করার জন্যে নোটিশ দেন রাজস্থান বিধানসভার অক্ষ্যক্ষ সিপি যোশী। ওই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শচীন পাইলট।
এই নিয়ে তৃতীয়বার হাইকোর্ট বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মত দিয়েছে। কোনও আদালতই তাঁকে এভাবে নির্দেশ দিতে পারে না এই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর যুক্তিতে আমল দেয়নি।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলে। সেখানে শীর্ষ আদালত বলে যে, অধ্যক্ষের আবেদনে যে বিষয়গুলির কথা তোলা হয়েছে তার জন্যে "দীর্ঘ শুনানি" দরকার কারণ এতে গণতন্ত্রের বিষয়ে একটি "বড়সড় প্রশ্ন" জড়িত এবং এটি কীভাবে টিকে থাকবে সেটাও একটা ভাবনার বিষয়। তবে আদালত এও বলে যে উচ্চ আদালতের রায়ের উপর তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
শচীন পাইলটের দলবল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে স্বস্তি পেলেও তার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সাংবাদিকদের সামনে বলেন যে, একটি বিধানসভা অধিবেশন খুব তাড়াতাড়ি ডাকা হবে। তিনি রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। গেহলট রাজ্যপালকে বলেন, "আমাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।"
"আমরা শিগগিরই বিধানসভার একটি অধিবেশন ডাকব। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়করা ঐক্যবদ্ধই রয়েছেন", দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যদি এই মামলায় জয়ী হন তবে তাঁরা বিধানসভায় ভোট দিতে পারবেন, ফলে গেহলট সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে হবে। তবে তাঁরা যদি মামলায় হেরে যায় তবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট সরকার।
এমনিতেই রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার যেন সুতোর উপর দিয়ে হাঁটছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনুযায়ী ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় প্রয়োজনীয় ১০১ সমর্থনের থেকে মাত্র দুটো সমর্থন বেশি তাঁদের। পাইলটের কাছে আছে ১৯ বিধায়কের সমর্থন এবং বিজেপির কাছে আছে ৭২ জন বিধায়ক।
রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্যে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন শচীন ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা, এমন অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগেই শচীনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাই সতর্ক রয়েছে রাজস্থানের পুলিশ।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে কংগ্রেসের দু'একজন বিধায়ক বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, সেই অডিও ফাঁস করে দেয় তাঁরা।
Post a comment