Rajasthan: কংগ্রেস-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে
হাইলাইটস
- রাজস্থান কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ তুলল বিজেপি
- এবিষয়ে সিবিআই তদন্ত হোক, এমনও দাবি করা হয় গেরুয়া দলের তরফে
- বিজেপি বলে, অসাংবিধানিক কাজ করছে রাজস্থান সরকার
নয়া দিল্লি: রাজস্থানের (Rajasthan) কংগ্রেস সরকারকে পাল্টা চাল দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া (BJP) দলের অভিযোগ, ওই রাজ্যের রাজনীতিবিদদের ফোন অবৈধভাবে ট্যাপ করেছে গেহলট সরকার। শনিবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। রীতিমতো "অসাংবিধানিক" পদক্ষেপ করে সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস (Congress government), এমন কথাও বলছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। এর আগে রাজস্থান কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করা হয় যে, গেহলট সরকারকে সরাতে দল ভাঙানোর ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করে গেরুয়া দলের দাবি, নিজের বাড়িতে বসেই ষড়যন্ত্র করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে রাজস্থানে মামলা, গ্রেফতার ১
এপ্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, "আমরা রাজস্থানে কংগ্রেসের রাজনৈতিক চালাকি ধরে ফেলেছি।ষড়যন্ত্র করতে কীভাবে মিথ্যা অভিযোগ বা জালিয়াতি করা যায় এবং কীভাবে আইনকে নিজের মতো করে প্রয়োগ করা যায় তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে তাঁরা"।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা বলার তিন ঘণ্টা পর কাড়া হয় শচীনের পদ: পাইলট শিবির
কংগ্রেসের "অবৈধ আচরণ ও মিথ্যাচারের কাহিনি" তুলে ধরে বিজেপির তরফ থেকে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রশ্নও করা হয়: "কংগ্রেস হাই কমান্ড এবং অশোক গেহলটকে আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে কি ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল? তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে আপনি ট্যাপ করেছেন? কিন্তু সেই ফোন ট্যাপিং কি এসওপি অনুসরণ করে করা হয়েছিল?"
বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এ প্রশ্নও করেন যে, রাজস্থান কি পরোক্ষভাবে জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে না? তিনি বলেন, "বিজেপি গোটা ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করছে। তাহলেই দুধ এবং জল আলাদা হয়ে যাবে।"
বৃহস্পতিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দলীয় বিধায়ক ভানোয়ারলালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন যে, কিছু অডিও টেপ তাঁদের হাতে এসেছে যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের সঙ্গে ভানোয়ারলাল ও সঞ্জয় জৈনের কথোপকথন রয়েছে। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে সঞ্জয় জৈনকে। বিজেপির তরফ থেকে যদিও সঞ্জয় জৈনের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকার বিষয় অস্বীকার করা হয়েছে।
কংগ্রেস অবশ্য আগেই ভানোয়ারলাল শর্মা এবং বিশ্বেন্দ্র সিং নামে আরেক কংগ্রেস নেতার প্রাথমিক সদস্যপদ বরখাস্ত করেছে, কারণ তাঁরা নাকি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
যদিও কংগ্রেস বিধায়ক ভানোয়ারলাল শর্মা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার যে অডিও টেপগুলি প্রকাশিত হয়েছে তাতে যে কণ্ঠগুলো শোনা গেছে তার মধ্যে তাঁর কণ্ঠ নেই।