Rajasthan Human Rights Commission: লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা সরকারের "কর্তব্য"
জয়পুর: ফের আলোচনায় লিভ-ইন রিলেশনশিপ। লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এই জাতীয় সম্পর্কের মহিলারা "রক্ষিতার মতো", এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজস্থান মানবাধিকার কমিশনের (Rajasthan Human Rights commission) প্রধান, এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন "ময়ূরদের যৌন সম্পর্ক নেই" বলে মন্তব্য করে শিরোনাম আসেন তিনি। লিভ-ইন রিলেশনশিপ (Live-in relationships) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মহেশ চন্দ্র শর্মা বুধবার বলেন যে এই ধরণের প্রক্রিয়ায় জীবনযাপন দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকার এবং নারীদের মানবাধিকার রক্ষার পরিপন্থী। বিচারপতি প্রকাশ তাঁতিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে জারি করা এক নির্দেশে তিনি বলেন, এ ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ করার জরুরি প্রয়োজন এবং এ ধরনের সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিরও অবশ্য কর্তব্য।
এই নির্দেশকে "চরম প্রত্যাবর্তনমূলক রায়, যার নিন্দা করা দরকার" আখ্যা দিয়ে সমাজকর্মী কবিতা শ্রীবাস্তব বলেন যে তাঁরা রাজস্থান হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছেন। "তিনি সরকারকে লিভ-ইন সম্পর্কের বিরুদ্ধে আইন করার এবং 'বিবাহের প্রকৃতিতে' ঘরোয়া হিংসা রোধের আইনের ধারাটিকেও চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য বলেছেন", একথাও উল্লেখ করেন তিনি।
২৩০০০ জরিমানা দিয়ে ১৫০০০-এর স্কুটি কেন ফেরত পেতে চান চালক?
এর আগে বেশ কয়েকটি রায় দিয়ে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতিরা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পারে একথাই শুধু বলেনি, পাশাপাশি পারিবারিক হিংসা রোধ সম্পর্কিত আইনের আওতাতেও এ জাতীয় সম্পর্ককে অন্তর্ভুক্ত করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গত বছরের মে মাসে একটি রায় দিয়ে আদালত উল্লেখ করেযে আইনসভা "লিভ-ইন রিলেশনস" এর বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে যা ঘরোয়া হিংসা বিরোধী আইন থেকে নারী সুরক্ষা আইন ২০০৫ এরও আওতাভুক্ত হয়েছে।
অন্য এক রায়ে আদালত একথাও বলে যে সংসদে যথাযথ আইন আনতে হবে যাতে এই জাতীয় সম্পর্কের ফলে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া যায়, সুরক্ষা দেওয়া যায় লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকা নারীদেরও ।
শীর্ষ আদালত সেই শর্তগুলিও চিহ্নিত করেছিল যা "বিবাহের প্রকৃতিতে" এই সম্পর্ক তৈরি করবে। তালিকায় অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা হতে হবে , বিবাহ করার বৈধ বয়স এবং "স্বামী-স্ত্রীদের অনুরূপ হিসাবে সমাজে নিজেদের জড়িয়ে রাখছেন" এই শর্তগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পাকিস্তানে খনন কার্য, মাটির নিচ থেকে কী পাওয়া গেল!
লিভ-ইন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে বিতর্কে জড়ানো এই বিচারপতি শর্মাই বছর তিনেক আগে রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে অবসর নেওয়ার সময় মন্তব্য করেন যে ময়ূরেরা ডিম ফোটানোর জন্য তাদের কান্না ব্যবহার করে, এই মন্তব্যের ফলে খবরের শিরোনামেও আসেন তিনি।
তিনি বলেন, "ময়ূর আজীবন ব্রহ্মচারী। এটি কখনও ময়ূরীর সঙ্গে যৌন মিলন করে না। ময়ূরের অশ্রু গিলেই ময়ূর গর্ভবতী হয়"। গরুকে জাতীয় প্রাণীর মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি । জাতীয় পাখি ময়ূরের সঙ্গে একটি গরুর তুলনা করে তিনি উভয় প্রজাতিকেই "ধার্মিক" বলে বর্ণনা করেছিলেন সেইসময়।