Rajasthan Government: শচীন পাইলটকে সঙ্গ দেওয়া দুই মন্ত্রীকেও সরানো হয়
হাইলাইটস
- শচীন পাইলট শিবিরেও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর
- কংগ্রেস সরকারের থেকে বিপদ কেটেছে বলে সূত্রের খবর
- মঙ্গলবার উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয় শচীন পাইলটকে
নয়াদিল্লি:
বিজেপিতে যোগদান করছেন না বলে জানানোর কয়েকঘণ্টা পরেই শচীন পাইলটকে বার্তা দিল কংগ্রেস, সদ্য অপসারিত উপমুখ্যমন্ত্রীকে দলের বার্তা, “হরিয়ানায় বিজেপির আতিথেয়তা নেওয়া বন্ধ করুন”। রবিবার বিদ্রোহ করেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট, সেদিন থেকেই তাঁর অনুগামী বিধায়কদের গুরগাঁও এর একটি হোটেলে রাখা হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে এই সমস্ত বিধায়কদের টাকা এবং পদ দিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। শচীন পাইলট জানান, “গান্ধি পরিবারের কাছে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই” বিজেপির সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে, এই মন্তব্যই দলের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব মেটানোর কিছুটা অনুঘটকের কাজ করে। মতবিরোধের কারণে, বিদ্রোহী বিধায়কদের সংখ্যা কমতেই, শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকা মতো পর্যাপ্ত বিধায়ক সংখ্যা রয়েছে তাঁর। ফলে এখন আর আস্থা ভোটের প্রয়োজন নেই, বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, “এখনই তার কোনও প্রয়োজন নেই”।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
দলের পুর্নমিলনের আলোচনা শুরু হতেই, শচীন পাইলটকে কটাক্ষ করে বার্তা দেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমরা শুনেছি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না শচীন পাইলট। যদি আপনি বিজেপিতে যোগ না দেন, তাহলে সত্ত্বর হরিয়ানার বিজেপি সরকারের আতিথেয়তা নেওয়া বন্ধ করুন, দুটি হোটেলে বিজেপির নিরাপত্তা বলয় থেকে আমাদের বিধায়কদের মুক্ত করুন। বিজেপির সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করুন”।
দলের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পুনর্মিলন সম্ভব, তা নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, তাঁকে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত দল। তাঁর কথায়, “দলে ফিরে আসুন এবং জয়পুরে ফিরে যান, আপনার প্রকৃত একাগ্রতা এবং নিষ্ঠা দেখান”।
বিধায়কদের দুটি বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের নোটিশ পাঠান বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং তাঁদের শুক্রবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় শচীন পাইলটকে। তাঁর সঙ্গ দেওয়া দুই মন্ত্রীকেও বরখাস্ত করা হয়।
এদিন সকালেই শচীন পাইলট জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না এবং কংগ্রেসেই থাকবেন, তখনই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়। NDTV কে শচীন পাইলট বলেন, “আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমার বিজেপিতে যোগদানের কোনও পরিকল্পনা নেই। গান্ধি পরিবারের চোখে আমার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই বিজেপির সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে”।
বিদ্রোহী শিবিরের বিধায়ক তথা প্রাক্তনমন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং বলেন, “অধ্যক্ষ আমাদের ইমেলে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তবে আমরা যতদূর জানি, আমরা কংগ্রেসেই আছি”। আরেক বিদ্রোহী বিধায়ক গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত নোটিশ নিতে চাননি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী নোটিশ নিতে অস্বীকার করলে বাড়ির বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শচীন পাইলটের দলবদল না করার মন্তব্যকে ভালভাবেই লুফে নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং এটা তাঁর সঙ্গে কথা বলার মতো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি, পাশাপাশি সঠিক সময়েও। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন শচীন পাইলট এবং বিদ্রোহীদের বাইরে থাকতে হতে পারে, এবং তারপর দল তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।
বিজেপির পক্ষে রয়েছে ৭৩ জন বিধায়ক, ফলে ক্ষমতায় আসতে তাদের আরও ৩৫ জনের সমর্থন প্রয়োজন। তবে মঙ্গলবার আস্থা ভোটের আলোচনার পর, দল সিদ্ধান্ত বদল করে। রাজস্থানের বিরোধী দলনেতা গুলাবচাঁদ কাঠারিয়া বলেন, “আমরা এখনই আস্থা ভোটের প্রয়োজন মনে করছি না। যদি আমরা তার প্রয়োজনীয়তা বুঝি, তাহলে দল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে”।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের দাবি, তাঁর পক্ষে ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, যা মঙ্গলবারের থেকে বেশি। ক্ষমতায় থাকতে ১০১ জন বিধায়কের সমর্থক প্রয়োজন। তিনজন বিদ্রোহী বিধায়ক ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
শচীন পাইলটের বিদ্রোহের আগে, কংগ্রেসের ছিল ১০৭ জন বিধায়ক, এছাড়াও ১৩ জন নির্দল এবং ছোটো ছোটো দলের ৫ জনের সমর্থন ছিল।
কংগ্রেস বিধায়কদের একটি রিসর্টে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহল। প্রত্যেক কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে একজন করে পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হয়।
Post a comment