আইপিএস অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার হলেন।
কলকাতা: কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে সরে গেলেন তর্কহীনভাবে সাম্প্রতিককালে এই রাজ্যের সবথেকে বিতর্কিত পুলিশকর্তা রাজীব কুমার। তাঁর জায়গায় ওই পদে এলেন ১৯৯১ এর ব্যাচের আইপিএস অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা। মঙ্গলবারই নিজের দায়িত্বভার নিচ্ছেন তিনি, এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্ন সূত্রে। গতকাল সোমবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনসে একটি ছিমছাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজীব কুমারকে বিদায় জানানো হয় কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে। তাঁর এই সরে যাওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্নমহলে প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছিল বহু জল্পনা। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহগুলি বিচার করলে তা যে অত্যন্ত স্বাভাবিক, তা দিব্যি মালুম হয়।
কিন্তু, ঘটনা হল, রাজীব কুমারকে সরতেই হতো তাঁর পদ থেকে। কারণটা আর কিছুই নয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা। দেশের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তিন বছরের বেশি সময় ধরে নিজেদের পদে বহাল রয়েছেন যে সব পুলিশকর্তা এবং বিভিন্ন জেলাতে পোস্টিং রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে অন্য পদে বদলি করে দিতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই সরে গেলেন রাজীব কুমার।
ভারত হামলা করলে জবাব দেবে পাকিস্তানঃ ইমরান খান
প্রথমে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই বদলি সংক্রান্ত প্রক্রিয়াটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। পরে সেই সময়টা কমিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, একই স্থানে কোনও অফিসারের দায়িত্বপালনের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ মে-র মধ্যে যদি তিন বছর হয়ে যায়, তবে, তাঁকে বদলি করতে হবে। এছাড়া, ২০১৭ সালের ৩১ মে পর্যন্ত যে নির্বাচন এবং উপ নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারদেরও নিয়মমাফিক বদলি করে দিতে হবে অন্য কোনও স্থানে।
লখনউ-এর লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে ১৯৮৫ সালে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন অনুজ শর্মা। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯০ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর হন তিনি। তারপরই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে তাতে পাশ করে শুরু করেন চাকরিজীবন।