Read in English
This Article is From Jun 06, 2018

'কালা'র রিলিজ নিয়ে কুমারস্বামীর কাছে আবেদন করলেন রজনীকান্ত, একটি বার্তাও দিলেন কণ্ণড় ভাষায়

যে যে হলগুলোতে দেখানো হবে ছবিটি, সেখানকার নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সুদৃঢ় করার জন্য রজনীকান্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর কাছে আবেদন করেছেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By
চেন্নাই: অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ  রজনীকান্তের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'কালা' কর্ণাটকের একটি বিশেষ সমষ্টির কাছ থেকে তুমুল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ছবিটি দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। যে যে হলগুলোতে দেখানো হবে ছবিটি, সেখানকার নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সুদৃঢ় করার জন্য রজনীকান্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর কাছে আবেদন করেছেন। বেশ কয়েকটি কট্টর কণ্ণড় দল জানিয়ে দিয়েছে, কর্ণাটকের ফিল্ম চেম্বার অব কমার্সের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছবিটি এই রাজ্যের কোথাও দেখানো হলেই সেখানে তারা অশান্তি করবে। কর্ণাটক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি বড়ো বিভাগ কাবেরীর জল ছাড়া নিয়ে রজনীকান্তের করা মন্তব্য নিয়ে অত্যন্ত রুষ্ট হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালত নির্দেশ দেয়,  যে যে হল এই ছবিটি দেখাতে চায় তা তারা দেখাতে পারে তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন আঁটোসাঁটো হয়। সংশ্লিষ্ট নির্দেশটি পালন করবে বলে রাজ্য সরকার আদালতকে আশ্বস্ত করেছে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানিয়েও বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, ছবিটি রিলিজ করার সঠিক সময় নয় এটা।

তাঁর বার্তায় রজনীকান্ত বলেছেন, "আমি কুমারস্বামীর অবস্থাটা বুঝতে পারছি। এটা কর্ণাটকের পক্ষেও মোটেই ভালো নয়। গোটা বিশ্বে ছবিটি রিলিজ করছে। সেখানে কর্ণাটকে না করলে ওই ইস্যুটি ( কাবেরীর জল ছাড়া সংক্রান্ত)  আরও বেশি করে নজরে চলে আসবে"।

Advertisement
তিনি কণ্ণড় ফিল্ম চেম্বার্সের কাছে আবেদন করেন যাতে তাঁর ছবিটি অন্তত রাজ্যে রিলিজ করা যায়। "ছবিটি রিলিজ করার ব্যাপারে কর্ণাটকের ফিল্ম চেম্বার আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে। কর্ণাটকের ফিল্ম চেম্বার 'কালা' নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে উঠে পড়ে লেগেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়", বলেন রজনীকান্ত।

গত মাসে সিদ্দারামাইয়ার কংগ্রেস সরকার কর্ণাটকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর রজনীকান্ত বলেছিলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাদের উচিত কাবেরীর জল তামিলনাড়ুর জন্য ছেড়ে দেওয়া। কুমারস্বামী রজনীকান্তের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে ওই রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করার আগে রজনীকান্ত যেন রাজ্যের চাষিদের অবস্থা এবং বাঁধগুলোতে জলের পরিমাণ দেখে যান।
Advertisement
Advertisement