This Article is From Jun 16, 2018

রাজীব গান্ধী হত্যাকারীর মা তাঁর সন্তানের জন্য 'স্বেচ্ছামৃত্যু' চাইছেন

রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা জেলে রয়েছেন 20 বছরেরও বেশি সময় ধরে।

রাজীব গান্ধী হত্যাকারীর মা তাঁর সন্তানের জন্য 'স্বেচ্ছামৃত্যু' চাইছেন

1991 সালের 21 মে মানববোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান রাজীব গান্ধী।

চেন্নাই: রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলার সাতজন দোষীকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কোনও সাড়া না দেওয়ায় ওই দোষীদের একজনের মা তাঁর সন্তানের জন্য ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন করেছেন।
এ জি পেরারিভালানের মা আরপুথাম্মাল তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সাম্প্রতিক বিবৃতিটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন ওই বিবৃতিটি রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়ার স্বপক্ষেই দেওয়া হয়েছিল।
ভেলোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরপুথাম্মাল বলেন, আমরা এখন সম্পূর্ণ আশাহত হয়ে পড়েছি। এতদিনের আইনি যুদ্ধ এবং তারপর এই সাম্প্রতিক অগ্রগতির পর আমরা এখন বিধ্বস্ত।
“আমরা এই জীবনটা আর চাই না। আমি কেন্দ্রের কাছে পিটিশন জমা দেওয়ার কথা ভাবছি। শুধু কেন্দ্র নয়, রাজ্যের কাছেও পিটিশন জমা দেওয়ার কথা ভাবছি আমি। আমার সন্তানের ওপর এবার দয়া করুন। আমার ছেলেটাকে এবার স্বেচ্ছামৃত্যু দিন”, বলেন তিনি।
এক প্রাক্তন সিবিআই অফিসারের বিবৃতি স্মরণ করেন। ওই অফিসার পেরারিভালানের বয়ান রেকর্ড করেছিলেন। কিন্তু আদালতে জমা দেওয়ার সময় সেই বয়ানের কিছুটা অংশ ‘বাদ’ পড়ে যায়।
“জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমার ছেলেকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখন ওর বয়স ছিল মাত্র 19 বছর। এখন ওর বয়স 47 বছর। যৌবন এবং জীবনের পুরোটাই শেষ হয়ে গিয়েছে ওর”, বলেন তিনি।
আরপুথাম্মাল বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ক্ষমা করে দিয়েছেন দোষীদের।
1991  সালের মে মাসে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমপুদুরে একটি নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে গিয়ে মানববোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। যে বেল্ট বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণের জন্য, তাতে ব্যবহৃত দুটি ব্যাটারি আনার দায়িত্ব ছিল পেরারিভালানের ওপর।
তামিলনাড়ু সরকার গত 5 জুন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তির ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু, এখন তাদের মুক্তি হবে কি হবে না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ওপর।


(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.