আফ্রিদির অবশ্য দাবি তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে
হাইলাইটস
- প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান শাহিদ আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না
- এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজনাথ
- রাজনাথ বলেন, কাশ্মীর ভারতের ছিল আর তাই থাকবে
নিউ দিল্লি: পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান শাহিদ আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না। কাশ্মীরের চারটি প্রদেশই দেখভাল করতে পারে না তাঁর দেশ। এবার এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, আফ্রিদি যা বলেছেন তা সঠিক। ওরা পাকিস্তানটাই সামলাতে পারে না। কাশ্মীর কি সামলাবে? কাশ্মীর ভারতের কাশ্মীর ভারতের ছিল আর তাই থাকবে। ব্রিটিশ সংসদে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েক দিন আগে আফ্রিদি বলেন, আমি বলছি পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না। ভারতকেও দেওয়ার দরকর নেই। কাশ্মীরকে স্বতন্ত্র থাকতে দেওয়া হোক। আর কিছু না হোক মানবতা জীবিত থাকবে। মানুষের মৃত্যু বন্ধ হোক। পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না। চারটি প্রদেশ-ই ভাল ভাবে সামলাতে পারে না পাকিস্তান। মানবতা সবচেয়ে বড় কথা। ওখানে মানুষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক, যে স্মপ্রদায়েরই হোক না কেন মানুষের মৃত্যু কখনই কাম্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে তাঁকে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে।
আফ্রিদির অবশ্য দাবি তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।
আগেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছন আফ্রিদি। আর তাঁর এ ধরনের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন টুইটার গ্রাহকরা। তাঁরা আফ্রিদিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তারকার আগে নিজের দেশেরব অবস্থা দেখা উচিত। এখনও সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়নি পাকিস্তান। শুধু তাই নয় দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়া ইমারন খানের সরকার মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদকে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় পর্যন্ত রাখেনি। কয়েক মাস আগে বিতর্কিত নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। ভোটে জিতেই তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার বার্তা দেয়। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা দ্বিপাক্ষিক আলোচানার দরজাও খুলতে চান ইমরান। চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি সে কথা জানান। প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। কিন্তু মাত্র 24 ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বৈঠক হবে না। তার কারণ যে সময় বৈঠক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঠিক তখনই উপত্যকার তিন পুলিশ কর্মীকে অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষাৎ বাতিল হয়। এই অপহরণ এবং খুনের ঘটনা থেকেই পাকিস্তানের আসল চেহারা প্রকট হয়েছে বলে জানায় বিদেশ মন্ত্রক।