সংসদে রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিলেন, বিজেপির কিছু করার নেই কর্নাটকের টালমাটাল কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট রাজ্য সরকার নিয়ে
হাইলাইটস
- কর্নাটকে টালমাটাল কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকার
- বিজেপি আর এক বিধায়কের সমর্থনেই সরকার গড়ার ১০৬ ছোঁবে
- রাজনাথ সিংহ এই নিয়ে মুখ খুললেন
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh) সোমবার সংসদে জানালেন শাসক দল বিজেপির (BJP) পক্ষে কর্নাটকের (Karnataka) টালমাটাল কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট রাজ্য সরকার বিষয়ে কিছু করার নেই। একাধিক পদত্যাগের ঘটনার ফলে কর্নাটকের রাজ্য সরকার টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সংসদে এদিন রাজনাথ সিংহ বলেন ‘‘আমাদের দল কখনও অন্য দলের নেতাদের কোনও চাপ দেন না। কংগ্রেস নেতাদের পদত্যাগের বিষয়টি শুরু হয়েছে খোদ রাহুল গান্ধির পদত্যাগের মাধ্যমে।'' প্রসঙ্গত, সংসদে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপি কর্নাটকের ক্ষমতা দখলের জন্য সেখানকার সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কর্নাটকে শাসক জোটের দুই দল থেকে সব মিলিয়ে ১৩ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। ফলে সেখানকার সরকারের স্থায়িত্ব ঘোর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এক মন্ত্রী ও নির্দল বিধায়ক, যিনি বিজেপির প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করলেই সরকার পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হবে। মোট ১৪ জন দল ছাড়লেই রাজ্য সরকারে জোট হয়ে যাবে ১০৪ জনের, যা সরকার গড়ার ন্যূনতম সংখ্যা ১০৬-এর থেকে দুই কম। অন্যদিকে বিজেপি আর একজন বিধায়কের সমর্থন পেলেই সরকার গড়ার ১০৬ সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলবে।
ডানা ছাঁটা হল বিধাননগরের মেয়রের! মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচীর বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা
কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর অভিযোগ, বিজেপি ওই বিধায়কদের মুম্বই নিয়ে গিয়ে পাঁচতারা হোটেলে রেখে দিয়েছে।
বিজেপির কর্নাটক শাখার প্রধান বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানান, ‘‘এখন কেবল অপেক্ষা আর দেখতে থাকা। আমরা কি সন্ন্যাসী? পদত্যাগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এবং স্পিকার তাঁর সিদ্ধান্ত জানালে আমাদের দলের নেতারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।''
বেধড়ক মারধরের পর ২৪ জনকে গায়ের জোরে বলানো হল 'গো মাতা কি জয়'!
গত বছরের মে মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পাকে। সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে তিনি পদত্যাগ করলেন।
এরপর কংগ্রেস ও জেডি(এস) এইচডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সরকার গড়ে বিজেপিকে সরিয়ে।
কংগ্রেসের আট ও জেডি(এস)-এর তিনজন দল ছেড়েছেন শনিবার। তাঁদের বুঝিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দল। আপাতত নির্দল বিধায়ক নাগেশ, যাঁর উপরে সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে, তিনিও মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।