অনুবাদটি সংশোধন করা হয়েছে গত মাসেই
জয়পুর: বাল গঙ্গাধর তিলকের পরিচয়টি অষ্টম শ্রেণির একটি সহায়িকা বইতে দেওয়া হল ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’ হিসাবে।শব্দের দৈন্য যে কী ভয়াবহ সমস্যার জন্ম দিতে পারে, এটি তার একটি বড়ো উদাহরণ। রাজস্থানের মাতুরার এক প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করেছে ওই বইটি। রাজস্থানের মাধ্যমিক বোর্ডের আওতায় থাকা বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে পড়ানো হয় এই বইটি। রাজস্থানের টেক্সটবুক বোর্ড সব বই প্রকাশ করে হিন্দিতে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের সহায়িকা ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।বাল গঙ্গাধর তিলক জাতীয়য়তাবাদী আন্দোলনের এক পুরোধা ছিলেন বলে তাঁকে সন্ত্রাসবাদের জনক বলেও অভিহিত করা হয়- এমনটাই লেখা আছে ইংরেজি বইটির 22-তম অধ্যায়ে 267 পৃষ্ঠায়।
বর্ণনাটা রয়েছে উপ-বিষয়ের তলায়। উপ-বিষয়টি হল- “উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন”। তার তলায় লেখা- “তিলক বিশ্বাস করতেন, ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ-উপরোধ করে কোনওভাবেই স্বাধীনতা অর্জন করা যাবে না। শিবাজি এবং গণপতি উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা দেশেই এই নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ারে লক্ষ্যে নামেন তিনি। স্বাধীনতা-মন্ত্রের বীজ জনগণের মনে পুরে দিতে পেরেছিলেন তিনি। যার ফলে, অচিরেই তিনি ব্রিটিশ সরকারের কু’নজরে পড়ে যান”।
যাঁরা বইটি ছাপিয়েছেন, সেই প্রকাশনা সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই ওই জায়গাটি বদলে ফেলে সংশোধিত সংস্করণ বাজারে চলে আসবে।
প্রকাশনা সংস্থার তরফে রাজপাল সিংহ পিটিআইকে জানান, ওটা অনুবাদকের ভুল ছিল।আমাদের কাছে খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই গত মাসেই আমরা ভুলটা সংশোধন করে ফেলেছি।
আগরতলা কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক, ড. আর এস খাঙ্গারোত জানান, 1916 সালে ‘হোম রুল আন্দোলন’-এর মাধ্যমে গোটা দেশবাসীকে স্বাধীনতা বিষয়ে সজাগ করে তোলেন তিলক। এই ভুলটা মানা যায় না। অনুবাদকের ভুল হলেও, তা ক্ষমার অযোগ্যা।
ব্রিটিশ লেখক ইগনেসিয়াস ভ্যালেন্টাইন চিরোল তিলককে “ভারতে অশান্তির জনক” বলে অভিহিত করেছিলে।
রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বি এল গুপ্তা জানান, তিলককে ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’ বলে অভিহিত করার থেকে বেশি ন্যক্কারজনক আর কিছু হতে পারে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)