This Article is From Jun 27, 2018

রাজ্যসভার ডেপুটি পদের জন্য মমতার প্রার্থীকে স্বীকার করে নিল কংগ্রেস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুখেন্দু শেখর রায় বিরোধী দলের ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের প্রার্থী হতে চলেছেন রাজ্যসভায়।

কংগ্রেস সমর্থন জানাবে তৃণমূলকে

নিউ দিল্লি:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুখেন্দু শেখর রায় বিরোধী দলের ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের প্রার্থী হতে চলেছেন রাজ্যসভায়। সরকার থেকে যদি ওই পদের প্রার্থীপূরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে এই নিয়ে ভোট হবে।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনও বিরোধী দলগুলির কাছে বিজেপির বিরূদ্ধে নিজেদের শক্তি বুঝে নেওয়ার লড়াই।

সূত্রের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীকে সমর্থন জানাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।

6 বছর ধরে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন ছিলেন কংগ্রেসের পি জে কুরিয়েন।

রাজ্যসভায় 51’টি আসন থাকা কংগ্রেস স্বাভাবিকভাবেই ছিল এই পদটির দাবিদার। যদিও, জাতীয় দলটির নেতৃত্ব এখন বুঝতে পেরেছে যে, বিজেপি বিরোধী সরকার গঠন করতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলে আর চলবে না। বিজু জনতা দল এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির গুরুত্বপূর্ণ ভোটগুলি পাওয়ার জন্যও তৃণমূলের ওপরই নির্ভর করতে হবে তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ওই দুই দল সমর্থন দেবে বলে জানা গিয়েছে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজু জনতা দল এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিও তৃণমূলের ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

1992 সালে শেষবার এই পদটির জন্য নির্বাচন হয়েছিল।

ওই সময় প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস ও বর্তমানে বিজেপি নেত্রী নাজমা হেফতুল্লার সঙ্গে তৎকালীন বিরোধী দলের প্রার্থী রেণুকা চৌধুরীর।

128’টি ভোট পেয়ে সেবার জিতে যান নাজমা হেফতুল্লা।

যে সময় এই নির্বাচন হতে চলেছে, সেই সময় সর্বদলীয় জোটের প্রার্থীর কাছে বিজেপির প্রার্থীর হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। বিরোধী পক্ষ যতই সংঘবদ্ধ হোক, তাদের লড়াই কঠিন।

নমিনেশন জমা দেওয়া এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের সময় সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।  

.