জেনে নিন এই সংক্রান্ত ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
আসনগুলোর মধ্যে ৪টি করে আসন অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের। ২টি আসন ঝাড়খণ্ডের ৷ ৩টি করে আসন মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ৷ এছাড়া মণিপুর ও মেঘালয়ের ১টি করে আসন রয়েছে ৷ অন্যদিকে ৪টি আসন কর্নাটকের এবং ১টি করে আসন অরুণাচলপ্রদেশ ও মিজোরামের ৷ সকাল ৯ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সবচেয়ে কঠিন লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা গুজরাটের ১টি, রাজস্থানের ১টি এবং মধ্যপ্রদেশের ১টি আসনকে কেন্দ্র করে।
করোনা পরিস্থিতিতে এই ভোটগ্রহণ ঘিরে সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রত্যেক ভোটদাতার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে এবং তাদের মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। জ্বর জ্বর ভাব থাকলে বা করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য লক্ষণ কারও শরীরে দেখা গেলে তাঁকে আলাদা ওয়েটিং রুমে রাখা হবে।
রাজ্যসভার ২৪৫ টি আসনের মধ্যে এনডিএর ৯১ টি, ইউপিএর ৬১ টি আসন রয়েছে, অন্য বিরোধী দল ও নিরপেক্ষ দলগুলি মিলে রয়েছে আরও ৬৮ টি আসন। আজকের নির্বাচনে নজর মূলত যে প্রার্থীদের দিকে থাকবে তাঁরা হলেন, গুজরাটের শক্তি সিং গোহিল এবং ভারত সিং সোলাঙ্কি, মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং দিগ্বিজয় সিং এবং রাজস্থানের কেসি ভেনুগোপাল।
সবচেয়ে জটিল অবস্থা গুজরাটে। সেখানে গত মার্চ থেকে ৮ জন বিধায়ক কংগ্রেস দল ছেড়েছেন। গুজরাটের ৪ টি আসনের জন্য বিজেপি ৩ জন প্রার্থীর নাম নথিভুক্ত করেছে। কংগ্রেস নথিভুক্ত করেছে ২ জন প্রার্থীর নাম। বিজেপির ৩ প্রার্থী হলেন অভয় ভরদ্বাজ, রামিলাবেন বারা এবং নরহরি আমিন। বিপরীতে কংগ্রেসের ২ প্রার্থী হলেন শক্তিসিং গোহিল এবং ভারত সিং সোলাঙ্কি। গুজরাটে জয় পেতে একজন প্রার্থীর ৩৪ টি ভোটের প্রয়োজন।
গুজরাট বিধানসভায় কংগ্রেসের ৬৫ জন বিধায়ক রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগকেই গত সপ্তাহে আলাদা আলাদা তিনটি রিসর্টে আগলে রাখা হয়েছে। একজনকে রাখা হয়েছে রাজস্থানে এবং দু'জন রাখা হয়েছে আমেদাবাদে। গুজরাটের ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১০৩ জন সদস্য রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে মার্চ মাসেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হাতের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় কংগ্রেস ছাড়েন আরও ২২ বিধায়ক। পরে যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ তাঁদের কয়েকজনকে দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে শুরু করেন। রাজ্যের ৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির ২টি এবং কংগ্রেসের ১টি আসন রয়েছে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামীদের পদত্যাগ এবং দুই সদস্যের মৃত্যুর পরে ২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন ২০৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। তার মধ্যে বিজেপির আছে ১০৭ সদস্য, কংগ্রেসের ৯২ জন। ফলে রাজ্যসভা আসনে জয়ী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ৫১ টি ভোটের প্রয়োজন।
রাজস্থানেও, ৩টি আসন নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে, বিজেপি তার সংখ্যার ভিত্তিতে ১টি এবং কংগ্রেস ২টি আসন পেতে পারে। তবে বিরোধী দল এখানে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছে। এদিকে কংগ্রেস দলকে তাদের বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন যে কংগ্রেসের প্রতিটি বিধায়ককে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দিয়ে লোভ দেখানো হচ্ছে।
রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস মণিপুরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে, কেননা তাদের ৯ জন বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন। এই সংখ্যাগুলিও রাজ্যসভার ফলাফলকে প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে, নির্বাচন কমিশন ১৭ টি রাজ্য জুড়ে মোট ৫৫ টি আসনে ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করে। মার্চ মাসেই, ১০ টি রাজ্যের ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপরেই ২৬ মার্চ যে আসনগুলির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২৪ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন।