আগে কী পরতেন রাজ্যসভার মার্শালরা (ডানদিকে) এখন কী পরছেন
হাইলাইটস
- সশস্ত্র বাহিনীর পোশাকে মার্শালরা
- প্রাক্তন আর্মি অফিসাররা সমালোচনা করেছেন এই পোশাকের
- পোশাক নিয়ে ভাবা হবে, জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান
নয়াদিল্লি: সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (winter session of parliament)। আর শুরুর দিনেই সমালোচনার মুখে রাজ্যসভা। রাজ্যসভার মার্শালদের (marshals) জন্য যে নতুন উর্দি করা হয়েছে তা ঘিরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। অনেকেই সরকারের ভারতীয় সেনাপ্রীতিকেই দায়ী করেছেন এই পোশাকের পিছনে। সূত্রের খবর মার্শালদের উর্দি সামরিক বাহিনীর উর্দির (Military-like uniform) মতো। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু (Vice President Venkaiah Naidu) মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তাঁর সচিবালয়কে উর্দিগুলি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যসভার আড়াইশতম অধিবেশন উপলক্ষে, মার্শালদের নতুন ইউনিফর্মে দেখা গিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন তাঁদের এই পোশাক সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার লোকসভায় দূষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা, উঠবে নতুন আইনের দাবি
উর্দির রঙ নেভি ব্লু, কাঁধে রয়েছে ইনসিগনিয়াস (insignias), সোনালি বোতাম এবং সোনালি আইগুইলেট বা সেনাবাহিনী বা আকাদেমিক ইউনিফর্মে থাকা বাহারি বেণী। এমনকি টুপিটিও ব্রিগেডিয়ার এবং তদূর্ধ্ব র্যাঙ্কের সেনা অফিসারদের মতোই। এর আগে মার্শালরা পাগড়ি ও সাদা গলাবন্ধ পোশাক পরতেন।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান, জেনারেল ভিপি মালিক সহ অনেক প্রাক্তন কর্মকর্তাই এই পরিবর্তিত উর্দির সমালোচনা করেছেন।
“নন-মিলিটারি কর্মীদের দ্বারা সামরিক ইউনিফর্মের নকল করা এবং তা পরা অবৈধ এবং একটি সুরক্ষা সংক্রান্ত বিপত্তি। আমি আশা করি ভিপি সচিবালয়, রাজ্যসভা ও রাজনাথ সিং জি দ্রুত এর ব্যবস্থা নেবেন,” টুইট করেছেন জেনারেল ভিপি মালিক।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল তথা মন্ত্রী ভি কে সিংও এই সমালোচনার সঙ্গে একমত। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে জিজ্ঞাসাও করেন যে রাজ্যসভায় কি তবে ‘সামরিক আইন' লাগু হয়েছে? “এতো গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে তুচ্ছ প্রশ্ন উত্থাপন করবেন না,” কড়া জবাব দেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
আরও পড়ুনঃ শীতকালীন অধিবেশনে "খোলামেলা উচ্চমানের বিতর্ক"-এর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
লোকসভায়, মার্শালরা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বা নিয়ম ভাঙা সদস্যদের সরিয়ে দেওয়ার জন্যই কাজ করেন, তবে রাজ্যসভায় মার্শালদের কাজ বেশিরভাগটাই আনুষ্ঠানিক। তাদের কার্যক্রমের শুরুতে কক্ষের চেয়ারম্যান বা প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে পদযাত্রা করতে হয়। তাদের কাছে নথিপত্র পৌঁছে দিয়ে বা সেগুলি সরাতে বা সাজানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করেন এই মার্শালরা।
সংসদের নিরাপত্তাকর্মী ও ওয়ার্ড কর্মীদের থেকে পৃথক পরিচয় প্রদান করতেই রাজ্যসভায় মার্শালদের ইউনিফর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।