নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ খারিজ করতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা।
হাইলাইটস
- ঘুষ নেওয়ার মামলায় রাকেশের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না
- রাকেশের বিরুদ্ধে দশ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে
- সিবিআইতে যে অশান্তি দেখা গিয়েছে তার শুরু এই অভিযোগকে ঘিরে
নিউ দিল্লি: নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ খারিজ করতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ ঘুষ নেওয়ার মামলায় রাকেশের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া সিবিআই কর্তা দেবেন্দ কুমার এবং ঘুষকাণ্ডের মধ্যস্থতাকারী মনোজ বর্মার বিরুদ্ধেও তদন্ত চলবে। আদালত শুক্রবার জানায় রাকেশের বিরুদ্ধে আগামী দশ সপ্তাহের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে। বিচারপতি নাজমি ওয়াজির বলেছেন অভিযোগের তাৎপর্য এতটাই যে এই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগাম অনুমতি নিতে হবে না।
সাম্প্রতিক কালে সিবিআইতে যে অশান্তি দেখা গিয়েছে তার শুরু এই অভিযোগকে ঘিরে। বিদেশে মাংস পাঠানোর ব্যবসা করে আসা মইন কুরেশিকে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে রাকেশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেই দায়ের হয় এফআইআর। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। পাল্টা প্রাক্তন অধিকর্তা অলোক বর্মার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন রাকেশ। দুজনকই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে পদ ফিরে পান অলোক। কিন্তু মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ফের সরিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে থাকা একটি কমিটি। আর এবার মামলা থেকে রেহাই পেলেন না রাকেশ।