আগামী সপ্তাহের রামনবমী উৎসবে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের সম্ভাবনা ছিল অযোধ্যায়।
লখনউ: রাম কোট পরিক্রমা দিয়ে উত্তরপ্রদেশে (UP Ram Navami Gatherings) শুরু হয় রামনবমীর অনুষ্ঠান। আগামী সপ্তাহের ২৪ মার্চ থেকে সেই পরিক্রমা আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। তারপরেই তিথি মেনে আয়োজিত হতো রামনবমীর অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনা সংক্রমণ (Covid-19) রোধে স্থগিত করা হল সেই উৎসব। লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত এড়াতে এই সিদ্ধান্ত, শুক্রবার জানিয়েছে আয়োজক কমিটি। সেই কমিটির সদস্য মহন্ত রাজকুমার দাস এনডিটিভিকে বলেন, "রামনবমীর উৎসব চলাকালীন আমরা অনেকগুলো পরিক্রমার আয়োজন করি। যার মধ্যে এই রাম কোট অন্যতম। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এখন শুধু দেশের না গোটা বিশ্বে মাথাব্যাথার কারণ। আমরাও চাই না, উৎসবে এসে কেউ সংক্রমিত হোক। তাই আপাতত স্থগিত রাখলাম এই উৎসবের আয়োজন।" জানা গিয়েছে, সেই কমিটি অযোধ্যার (Ayodhya) মানুষদের অযথা বাইরে ঘুরতে এবং সরযূ নদীতে স্নান করতে নিষেধ করেছে। কমিটি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) পরামর্শ মেনেই সব নাগরিককে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মানুষকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপদেশ মেনে চলার অনুরোধ বিরাট কোহলির
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার, সতর্কতা অবলম্বনে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি উত্তরপ্রদেশজুড়ে লাগু করেছে।সেই তালিকায় আছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে ধর্মীয় জমায়েত আয়োজন না করার পরামর্শ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট মোতাবেক, দেশের মধ্যে অন্যতম করোনা সংক্রমিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। ২৩ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগে ৯ জনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। গোটা দেশে কোভিড-১৯-এর জেরে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। মৃত ৪ জন।
করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ মার্চ ১৪ ঘণ্টার জন্য জনতার কার্ফু পালন করার আবেদন জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে, বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীর থেকে দু'সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়ে তিনি আবেদন করেছেন, আগামী ২২ মার্চ, সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা, অর্থাৎ ১৪ ঘণ্টা জনতার কার্ফু পালন করুন। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বেরতে অনুরোধ করেন তিনি। এমনকি, এই বিপর্যয়ের সময় যারা ছুটি না নিয়ে দেশসেবায় অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী।
Coronavirus: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মুম্বইয়ের সমস্ত অফিস
তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেন, "রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ থালা-বাসন বাজিয়ে কিংবা হাততালি দিয়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদের অভিবাদন জানান।" বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করে আরও বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মজুত বাড়াতে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। সরকারের ভাঁড়ারে চাহিদার সঙ্গে পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে।