আইআইটি খড়গপুরের সমাবর্তনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।
খড়গপুর: এর আগে পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ক গড়ে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক (Education Minister Ramesh Pokhriyal Nishank)। ফের তাঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তি। আইআইটি খড়গপুরে (IIT Kharagpur) কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘রাম সেতু (Ram Setu) গড়েছেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা।' আইআইটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলে বসেন, ‘যদি রাম সেতুর কথা বলি, এটা কোনও আমেরিকা, ব্রিটেন বা জার্মানির ইঞ্জিনিয়াররা বানাননি। এটা আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বানিয়েছিলেন। যা দেখে গোটা পৃথিবীই আশ্চর্য হয়ে যায়।' মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে হাততালির শব্দ তো দূর, সভায় উপস্থিত সবাই চুপ করে যান। তাতে অবশ্য মন গলেনি রমেশ পোখরিয়ালের। উল্টে তিনি মঞ্চ থেকেই জিজ্ঞাসা করতে থাকেন ‘কি ঠিক বলিনি?' প্রথমবার সাড়া না পেয়ে প্রশ্ন করেন দ্বিতীয়বার। তাতেও অবশ্য অভ্যাগতদের আচরণের পরিবর্তন হয়নি।
পুরাণ রামায়ণে অ্যাডাম ব্রিজ বা রাম সেতুর উল্লেখ রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ চুনা পাথরে তৈরি একটি সেতু। যেটি তামিলনাড়ু রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে মান্নার উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা গয় এই সেতু হনুমানরা তৈরি করেছিল রামের জন্য। রাম যাতে সহজে রাবণের লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে পারেন।
সংস্কৃত সবচেয়ে ব্যবহৃত এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাষা, বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও দাবি করেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চিনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হতে চলেছে ভারত। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশের গীতাকে এখন বিজ্ঞান বলে মানছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে। গীতা এক এমন বিজ্ঞান যা আত্মার সঙ্গে পরমাত্মাকে মেলায়। আমাদের শরীর তো একটা কাঠামো মাত্র, কোনও তো একটা শক্তি আছে যা তাকে চালিত করছে।'