This Article is From Jan 28, 2019

মাদার টেরেজা 'ভারতরত্ন' পেলেন, একজন সাধু পেলেন না এই সম্মান, বললেন রামদেব

প্রসঙ্গত, শান্তির জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কার পান মাদার টেরেজা।

দেশের স্বাধীনতার ৭০ বছর পেরিয়ে গেল, অথচ একজন সাধুকেও ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হল না। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন যোগগুরু রামদেব।

নিউ দিল্লি:

দেশের স্বাধীনতার ৭০ বছর পেরিয়ে গেল, অথচ একজন সাধুকেও ‘ভারতরত্ন' দেওয়া হল না। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন যোগগুরু রামদেব। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও ক্ষোভ আছে কি না, এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো সেটা বলতে চাইছি না। আমি কেবল বিষয়টার দিকে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি”। এই বিখ্যাত যোগগুরু বিজেপির হাত ধরা এবং তাঁর সাধের ‘পতঞ্জলি'-র যাত্রা শুরু করেন প্রায় একইসঙ্গে। সম্প্রতি তিনি দাবি করেন যে, রাজনীতির থেকে স্বপচ্ছায় দূরত্ব রচনা করেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কি প্রচার করবেন তিনি, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রামদেব বলেন তিনটি সহজ শব্দ দিয়ে সাজানো এক অতি জরুরি প্রশ্ন। সেটি হল- ‘কেন করব আমি'?

এলাহাবাদের কুম্ভমেলায় যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, ভারতরত্ন যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু কোনওদিন আমাদের দেশের কোনও সাধু বা সন্ন্যাসী এই সম্মান পেলেন না কেন, সেই ভাবনা আমাকে খুব বিচলিত করে।

আরও পড়ুনঃ স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলে মানুষ জবাব দিতে পারে, মন্তব্য নীতীন গড়করির

তাঁর প্রশ্ন, “একজন সাধু বা সন্ন্যাসীও আজ পর্যন্ত কেন ভারতরত্ন পেলেন না? এই দেশে মহর্ষি দয়ানন্দ বা স্বামী বিবেকানন্দের অবদান কি কোনও রাজনৈতিক নেতা বা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের থেকে কম? ওঁরা মাদার টেরেজাকে এই সম্মান দিয়েছিলেন। তিনি তো খৃস্টান ছিলেন। অথচ, কোনও হিন্দু সন্ন্যাসী বা সাধুকে এই সম্মান দেওয়া হয়নি। কেন? আমাকে বলতে পারেন? হিন্দু হওয়াটা কি এ দেশে অপরাধ?”

প্রসঙ্গত, শান্তির জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কার পান মাদার টেরেজা।

রামদেব বলেন, “আমি ধর্ম নিয়ে বিভাজন করছি না। তবে, হিন্দু ধর্মের এই মানুষগুলোও একইরকমভাবে ভারতরত্ন সম্মানটি পাওয়ার যে যোগ্য ছিলেন, সেই বিষয়ে আমি নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারি”।

এই বছর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা, প্রয়াত সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখকে ‘ভারতরত্ন' সম্মানে ভূষিত করা হয়।

বহু বিজেপি নেতা এই ‘ভারতরত্ন' ঘোষণার পর থেকে দাবি করতে শুরু করেন, গান্ধী পরিবারের সদস্য না হলেই কংগ্রেস কারও সঙ্গে মানুষের মতো ব্যবহারই করতে চায় না। ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী দুজনেই ‘ভারতরত্ন' পেয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্যই।

.