Muslims don't believe in idols, why are they worried about Jinnah's portrait, says Ramdev
হাইলাইটস
- Muslims don't believe in photos, why worry about Jinnah portrait: Ramdev
- "Ghost of Jinnah is hogging a lot of limelight," says Ramdev
- Row over Jinnah's portrait at Aligarh Muslim University
নালন্দা, বিহার:
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার প্রতিকৃতি নিয়ে হওয়া বিতর্কের শেষতম সংযোজন যোগ বাবা রামদেব। মঙ্গলবার তিনি বলেন, "মুসলমানরা তো মূর্তিপুজো বা প্রতিকৃতি পুজোতে বিশ্বাসই করে না, তাহলে এই ব্যাপার নিয়ে তাদের অযথা এত উতলা হয়ে পড়ার কারণ কী?" বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগব্যায়ামের আসরের পর রামদেব মিডিয়াকে এই কথা বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, “জিন্নার ভূত প্রচুর প্রচারের আলো পেয়ে যাচ্ছে”। এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামদেব বলেন, পাকিস্তানের স্রষ্টা তাঁর নিজের দেশের জন্য দারুণ কিছু হতেই পারেন, তবে, যাঁরা ভারতের ঐতিহ্য ঐক্যে বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে তাঁর কোনও গুরুত্ব নেই।
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেসের মণিশঙ্কর আইয়ার জিন্নার প্রশংসা করে বিজেপির মুখতার আব্বাস নকভির কাছে “মণিশঙ্কর আইয়ারের এই কথা থেকেই বোঝা যায় কংগ্রেসের আসল মনোভাব”- মর্মে তীরস্কৃত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই রামদেব এই বিতর্কে মুখ খুললেন।
মহম্মদ আলি জিন্না নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাতটি হয় বিজেপি নেতা সতীশ গৌতম আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের অফিসে জিন্নার প্রতিকৃতি রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার উত্তরে জানানো হয় যে, জিন্না হলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্য। তাই তাঁর প্রতিকৃতি এখানে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সমীচীন নয়।
গত ৩ মে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পুলিশের সংঘর্ষে মোট ২৮ জন ছাত্র এবং ১৩ জন পুলিশ গুরুতর আহত হয়। ডানপন্থী বিক্ষোভকারীরা আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ঔফিসে জিন্নার প্রতিকৃতি থাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করার পর এই সংঘর্ষ বাঁধে।
এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভয়ানক ঝামেলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির বিশেষ সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করে উপাচার্য তারিক মনসুর পরীক্ষার তারিখ ৭ মে থেকে পিছিয়ে ১২ মে করার সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যাপক মনসুর পিটিআইকে জানান, এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো বন্ধ করে রাখা গেলেও যেতে পারত, কিন্তু তিনি তা করতে রাজি নন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে সাহায্য করার জন্য তিনি তিনি ছাত্রদের বারবার অনুরোধ করেছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)