বেশ কয়েকজন সাধুর থেকে ছিলিম পর্যন্ত নিয়ে নেন রামদেব।
হাইলাইটস
- কুম্ভ মেলায় গিয়ে সাধু-সন্তদের ধূমপান ছাড়তে বললেন যোগগুরু রামদেব
- বেশ কয়েকজন সাধুর থেকে ছিলিম পর্যন্ত নিয়ে নেন রামদেব
- ৫৫ দিন ধরে চলতে থাকা কুম্ভমেলা শেষ হচ্ছে ৪ মার্চ
প্রয়াগরাজ: কুম্ভ মেলায় গিয়ে সাধু-সন্তদের ধূমপান ছাড়তে বললেন যোগগুরু রামদেব। তাঁর মনে হয় ভগবান রাম বা কৃষ্ণকে যাঁরা পুজো করেন তাঁদের ধূমপান করার কোনও কারণ নেই। এই দু'জনের কেউ ধূমপান করেতেন না তাহলে তাঁর অনুগামীরা এই কাজ করবেন কোন যুক্তিতে! পাশাপাশি তিনি এও বলেন মা- বাবা, ঘর-সংসার সব কিছু ছেড়েই একজন মানুষ সাধু হন। এতকিছু যদি ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে ধূমপান না ছাড়ার কারণ কী? শুধু পরামর্শ দেওয়াই নয়, বেশ কয়েকজন সাধুর থেকে ছিলিম পর্যন্ত নিয়ে নেন রামদেব। পাশাপাশি আর কখনও ধূমপান না করার জন্য তাঁদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধও হতে বলেন তিনি। রামদেব বলেন, এই ছিলিম গুলি তাঁর নিজের সংগ্রহশালায় থাকবে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ তরুণদের আমি ধূমপান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। তাহলে মহাত্মারাই বা বাদ যান কেন! '
কে কে পুণ্যস্নান করতে এলেন কুম্ভমেলায়, জেনে নিন
৫৫ দিন ধরে চলতে থাকা কুম্ভমেলা শেষ হচ্ছে ৪ মার্চ। মোট ১৩ কোটি ভক্ত পুণ্যস্নান করবেন বলে প্রশাসন মনে করছে। এ বারের কুম্ভতেই খরচ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি অর্থ। একটি সূত্র বলছে প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা খরচ করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এবার মেলা শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রীরা এসে ডুব দিয়ে গিয়েছেন পুণ্যকুম্ভে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে তালিকাটা বিরাট। এই কুম্ভমেলা প্রাঙ্গনেই মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। বৈঠক সারার পর মন্তরিসভার সমস্ত সদস্যদের নিয়ে ডুব দেন পুণ্যকুম্ভে। গত ১৫ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় গিয়ে গঙ্গায় ডুব দেন স্মৃতি ইরানি। সেই ছবি টুইটার পোস্টও করেছিলেন তিনি। এছাড়া গত রবিবার কুম্ভমেলায় এসে পুণ্যস্নান করে যান সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নানের জন্য আসতে পারেন বলে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে ।