রাঁচিতে শিশু পাচার কাণ্ড নিয়ে চাপান উতোর।
রাঁচি: রাঁচির শিশু পাচারকাণ্ডের তদন্তে আরও অগ্রগতি। উদ্ধার আরও একটি শিশু। এর আগে উদ্ধার হয়েছিল দুজন। আর বুধবার আরও একজনকে উদ্ধার করল পুলিশ। রাঁচির মিশনারিজ অফ চ্যারিটি থেকে শিশু পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। উদ্ধার হওয়া শিশুর সঙ্গে এই পাচারকাণ্ডের যোগাযোগ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। শিশু পাচারের ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে 2016 সালের মার্চ মাস থেকে এ যাবৎ প্রায় 110 টি শিশুর জন্ম হয়েছে রাঁচির মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে। কিন্ত স্থানীয় শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে মাত্র 52 জনের জন্মের রেকর্ড আছে। শুধু তাই নয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের জন্ম হয়েছে অবিবাহিত মায়ের গর্ভ থেকে। এই দুটি ঘটনা থেকে তদন্তকারীদের সন্দেহ পাচার চক্রের ফাঁদে পড়েছে আরও অনেক সদ্যজাত। ঘটনায় নাম জড়িরেছে মিশনরিজের কিছু কর্মীর। গ্রেফতার হয়েছেন সিস্টার ও এক প্রবীণ নার্স। কিন্ত বিশপ মনে করেন তাঁরা কোনও অপরাধই করেননি। পুলিশ জোর করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে।
নিজেদের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছে চার্চ। বিশপ থেডর ম্যাসকারেনাস এনডিটিভিকে জানিয়েছেন এ ব্যাপারে যা করা দরকার তাঁরা সব করবেন। আইনের দ্বারস্থ হয়ে ন্যায় বিচার চাইবেন। তাঁর দাবি ওই নার্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে পুলিশ। তাছাড়া শিশু জন্ম সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগও মানতে চাননি তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন একজন বা দু;জনের জন্য গোটা সংস্থাকে দোষারোপ করা যায় না।
চার্চের তরফে গোটা বিষযটি অস্বীকার করা হলেও পুলিশ বলছে এই দুজনের পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার প্রমাণ মিলেছে। এমনকী ধৃতরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে বলেও দাবি পুলিশের। একই সঙ্গে টাকার বিনিময়ে শিশু লেনদেন হওয়ার কমকরে চারটি ঘটনার কথা জেনেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।