Ranu Mondal: দুর্ভাগ্য বদলে গেল সৌভাগ্যে
হাইলাইটস
- ইতিমধ্যে ৫ - ৬ তা গান গেয়েছেন রাণু
- এখন সোশ্যাল মিডিয়ার এটি পরিচিত নাম রাণু
- শুনুন রাণু মণ্ডলের গল্প
নয়া দিল্লি: দেশ ছেড়ে বিদেশেও লেটেস্ট সেনশেসন রাণু মণ্ডল (Ranu Mondal)। তাঁর জীবন, উত্থান হার মানাবে যেকোনও হিন্দি ছবিকে। একটা করে দিন যাচ্ছে আর লতা-কণ্ঠীকে নিয়ে আগ্রহের পারদ চড়চড়িয়ে উঠছে। রাণু নিজের মুখেই জানিয়েছেন, রানাঘাট স্টেশনে তাঁর দিন কাটলেও তিনি কিন্তু যথেষ্ট স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে। ৬০ বছর আগে তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের এক গ্রামে। হঠাৎই তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন পরিবারের থেকে।
তারপর রাণুর বিয়ে হয় মুম্বই অভিনেতা ফিরোজ খানের (Feroz Khan) বাড়ির কুক কাম ঘরের কাজ করতেন যিনি তাঁর সঙ্গে। তাঁর হাত ধরে তিনি চলে আসেন মুম্বই। কিন্তু রাণুর কপালে সুখ বেশি দিন সহ্য হয়নি। এরপেরই তিনি ফের বিচ্ছিন্ন হয়ে ফিরে আসেন রাজ্যে। স্থায়ী ঠিকানা হয় রানাঘাট স্টেশন। সেই জায়গা থেকে রাণু আজ আচমকাই আন্তর্জাতিক তারকা!
হিমেশ রেশমিয়ার পর, এবার কোন গায়কের সাথে গলা মেলালেন রানু মণ্ডল, দেখুন ভিডিও
‘তেরি মেরি...'র পরে রানাঘাটের রাণু মণ্ডলকে দিয়ে আবার গান রেকর্ড করাচ্ছেন হিমেশ রেশমিয়া
রাণুর কথায়, তাঁর জীবনের গল্প একদম সিনেমার কাহিনির মতো। কেউ চাইলে খুব সহজেই তাঁর জীবন নিয়ে ছবি বানাতে পারেন। রাণুর জীবনের মোড় ফিরিয়ে দেয় একটি ভিডিও ক্লিপিংস। যেখানে তাঁকে গাইতে শোনা গেছে, লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘এক প্যায়ার কা নগমা হ্যায়'। এই গান গেয়ে ভিডিও-র মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন তিনি! নেট দুনিয়ার জাদুতে এবং মেকওভাবে যদিও এখন পুরনো রাণুকে চেনা দায়। মাথার এলোমেলো রুক্ষ সাদা-কালো চুল রঙিন, পরিপাটি। পরনে সাত ময়লা ছাপার শাড়ির জায়গায় রঙিন সিল্কের শাড়ি। ঠোঁটে লিপস্টিক। লতা মঙ্গেশকরের একটি গানের কয়েক কলি এভাবেই পাল্টে দিয়েছে রাণাঘাটের রাণু মণ্ডলকে।
দেখুন, বিখ্যাত হয়েই রাতারাতি কেমন বদলে গেছেন রানাঘাটের 'লতাকণ্ঠী' রাণু!
রাণু আরও জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালে কৃষ্ণমগরের কার্তিকপাড়া গ্রামে জন্ম তাঁর। পুরো নাম রাণু মারিয়া মণ্ডল। বাবা আদিত্য কুমার মণ্ডল ছিলেন ছোট দোকানদার। একটু বড় হতেই মা-বাবাকে হারিয়ে রাণু মানুষ হন দিদার কাছে। তখনই তিনি দিদার সঙ্গে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে যেতেন। ফলে, স্কুলে যাওয়ার সুযোগ কোনোদিনই পাননি তিনি। তবে বরাবরই তাঁর গানের গলা ভারী মিঠে। স্পষ্ট উচ্চারণ আর দরদ মাখানো গায়কী-ই পরে হয়ে ওঠে তাঁর দিন গুজরানের উপায়।
ভিডিও আপলোড হওয়ার পরেই রিয়েলিটি শো-এ ডাক পান রাণু। সেখানে তাঁর গান শোনার পর আপ্লুত হিমেশ রেশমিয়া রাণুকে গান গাওয়ার সুযোগ দেন আঁর আগামী ছবিতে। সেখানে হিমেশের সঙ্গে রাণুর ডুয়েট শোনা যাবে 'তেরি মেরি কাহানি'। এছাড়াও, আরো একটি গান গাওয়ার সুযোগ নাকি হিমেশ তাঁকে দিচ্ছেন। তবে রাণু-রেশমিয়ার গানের ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখেছেন অসংখ্য নেটবাসী। রেশমিয়ার পরেই রাণু নজর কেড়েছেন সলমন খানের। ওই গানের রিয়েলিটি শো-তে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ভাইজান।
রাণু আরও জানিয়েছে, তাঁর স্বামী আর তিনি যখন ফিরোজ খানের বাড়িতে থাকতেন তখন ফারদিন খান কলেজে পড়তেন। তাঁদের সঙ্গে খান পরিবারের সম্পর্ক এতই ভালো ছিল যে একসময় মনে হত, তাঁরা যেন ওই পরিবারেরই সদস্য। সেই সময় নিয়মিত তিনি হিন্দি ছবি দেখতেন। কিন্তু তাঁর কপালে যে 'ঘর' নেই! তাই তিনি ফের ঘরছাড়া।
জীবন যেমন কেড়ে নেয় সময় হলে তা বোধহয় ফিরিয়ে দেয় দ্বিগুণ পরিমাণে। রাণু মণ্ডল তার জ্বলন্ত উদাহরণ। রাণুর কথা, ৬০ বছরে এসে এত সুখ তিনি পাবেন, ভাবতে পারেননি। ইতিমধ্যেই ৫-৬টি গান রেকর্ড করে ফেলেছেন। সলমন খান তাঁকে মাথার ওপর পাকা ছাদ দিয়েছে। জীবনের কাছ থেকে আর কী চাই!
বলিউডের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে...