গ্রেফতার হলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত বাঙালি সাঁতার কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে গ্রেফতার হলেন ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত বাঙালি সাঁতার কোচ (Swimming Coach) সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গোয়া পুলিশ (Goa Police) একথা জানিয়েছে। উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট উৎকৃষ্ট প্রসূন জানিয়েছেন সুরজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুরজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ১৫ বছরের সাঁতার ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে কর্মরত ছিলেন সুরজিৎ। এর আগে একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে বাঙালি নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়। পরে বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর টুইটে জানিয়ে দেন, ‘‘ক্রীড়া দফতরের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রথমত, এটা অত্যন্ত গুরুতর ও জঘন্য একটি অপরাধ। তাই আমি পুলিশকে জানাব দ্রুত ওই কোচের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করার জন্য।'' পাশাপাশি সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে তিনি নির্দেশ দেন ওই কোচকে যেন দেশের কোথাও চাকরি না দেওয়া হয়।
গোয়ার অভিযুক্ত বাঙালি সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে এবার আনা হল ধর্ষণের অভিযোগ
সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি দিগম্বর কামাত বলেন, তিনি রাজ্য প্রশাসনের থেকে ওই ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিডিওটি দেখার পরেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে গোয়ার ক্রীড়া দফতরকে চিঠি লিখে ওঁকে তৎক্ষণাৎ চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানাই। তাঁকে রাখার জন্য বহু অভিভাবক অনুরোধ করেছিলেন, কারণ তিনি একজন ভাল কোচ ছিলেন। ''
গোয়ার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের অধিকর্তা ভিএম প্রভুদেশাই বলেন, দিগম্বর কামাত তাঁকে মৌখিক ভাবেও মুখ্য কোচকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জিএসএ-র সচিব সঈদ আব্দুল মাজিদ জানান, ‘‘ভিডিওটি দেখার পর আমরা সুরজিতের চুক্তি বাতিল করেছি। ওই মেয়েটি ও কোচ দু'জনেই বাংলার।''
সুরজিৎ ওই চাকরিতে যোগ দেন আড়াই বছর আগে।
সুরজিৎ ঘোষ আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১২টি পদক জিতেছেন। ১৯৮৪ সালে হংকংয়ে এশিয়ান সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার সোনা জেতেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)