ধর্ষকদের ক্ষমা নয়, রামনাথ কোবিন্দ
হাইলাইটস
- নাবালিকা ধর্ষণে ক্ষমা নেই
- ধর্ষকদের ক্ষমা করার প্রশ্নই নেই
- শুক্রবার এই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি
নয়া দিল্লি: নাবালিকাদের উপর হামলা বা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে (পোকসো অ্যাক্ট) অনুযায়ী অভিযুক্ত জীবনভিক্ষার প্রার্থনা জানাতে পারবে না। তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ডের পর এই রায় খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের।
"দেশের নারীসুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পকসো আইনে তাই ধর্ষকদের ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমা করার কোনও সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, বিষয়টি নিয়ে সংসদে পর্যালোচনা করা উচিত" রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ রাজস্থানের সিরোহিতে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এমনটাই বলেন।
তেলেঙ্গানা গণ ধর্ষণ ও খুন: অভিযুক্ত ৪ জনকেই এনকাউন্টার করে হত্যা পুলিশের
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশের আইন কঠোর না হলে নারীদের সঙ্গে অনবরত ঘটে চলা নারকীয় ঘটনা বাড়তেই থাকবে। যেভাবে, তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-হত্যার পুর্নগঠন করতে গিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিল অপরাধীরা। যার জেরে তাদের এনকাউন্টারে খতম করতে বাধ্য হয় তেলেঙ্গানা প্রশাসন। এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্যেই আরও কড়া হচ্ছে পকসো আইন। কারণ, পকসো-র প্রধান লক্ষ্যই হল আরও কঠোর আইনি বিধানের মাধ্যমে নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন ও শোষণ থেকে রক্ষা করা। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার যৌথভাবে যখন নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষকের জীবনভিক্ষা খারিজ করার আবেদন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ঠিক তখনই তিনি এই বার্তা দেন।
গতসপ্তাহেই তেলেঙ্গানা কাণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ধর্ষকদের ক্ষমা করার কোনও প্রশ্নই নেই। বরং দেশের আইন এতটাই কঠোর হতে হবে যাতে আগামী দিনে এই ধরনের পাশবিক আচরণের আগে অপরাধী দুবার ভাবে। পাশাপাশি, নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষকের ক্ষমার আবেদন খারিজ করার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতিকে। জানান, এই একটি ঘটনায় সারা দেশ প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। অপরাধীদের শাস্তি দিতে অনেকটাই সময় লেগে গেল, যা সত্যিই দুঃখজনক।
‘‘৭ বছর ধরে রোজ মরছি আমরা'': তেলেঙ্গানার পুলিশের সমর্থনে নির্ভয়ার বাবা-মা
উল্লেখ্য, ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদন করেছিলেন। নির্ভয়া ২০১২-র ডিসেম্বরে দক্ষিণ দিল্লিতে সিনেমা দেখে বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যে বাসে চড়েছিলেন সেই বাসটি ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে পাঁচ জন পুরুষ ও এক কিশোর তাঁকে ধর্ষণ করে। বন্ধুকে বেধড়ক মেরে ফেলে দেয় বাস থেকে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। নাবালককে পাঠানো হয় জুভেনাই হোমে। একজন প্রাণভিজ্ঞার আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে।