গতবার এই আমের ফলন ভালো হয়নি
ইন্দোর: ফলের রাজা আম। কিন্তু আমেদের রানী কে? হিমসাগর, ল্যাংড়া বা গোলাপখাস নয়, আমেদের রানী হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয় নূরজাহানকে। গত বছর ভারী বর্ষণে এই আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই বছরের আবহাওয়া এখনও এই আমের জন্য অনুকূল। কিন্তু কেন আমের রানী বলা হয় এই নূরজাহানকে? আফগানিস্তানের এই আমগাছের প্রজাতি ভারতে কেবল একটি মাত্র স্থানেই পাওয়া যায়। তাও খুবই সামান্য পরিমাণে। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার কাত্থিওয়াড়া অঞ্চলেই একমাত্র দেখা মেলে নূরজাহানের। নুরজাহান আমের একটার দৈর্ঘ্য এক ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এর আঁটির ওজনই ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। নূরজাহান আমের সংখ্যা এতখানিই সীমিত যে, গাছে থাকা অবস্থাতেই মানুষ এই আমের অগ্রিম বুকিং করে নেন। চাহিদা বাড়লে এক একটা ফলের মূল্য ৫০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কন্টকাকীর্ণ নয়, মোদির কেদারনাথ ভ্রমণ লাল গালিচার পথে; বিধিভঙ্গের অভিযোগ
ইন্দোর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে কাত্থিওয়াড়াতে এই প্রজাতির আম চাষের বিশেষজ্ঞ ইশাক মশুরী বলেন, “এই বার আবহাওয়া অনুকূলে বলে নূরজাহানের বেশি ফলন আশা করা হচ্ছে। নূরজাহান গাছগুলিতে জানুয়ারি মাস থেকেই মুকুল ধরতে শুরু করে এবং ফল জুনের শেষদিকে সম্পূর্ণ পেকে যাবে। এই বার এক একটা ফল গড়ে ২.৫ কিলোগ্রামের কাছাকাছি ওজনের হতে পারে। আগে নূরজাহান আমের গড় ওজন হত ৩.৫ থেকে ৩.৭৫ কেজি।” বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক দশকে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের দেরি, অল্প বৃষ্টি, অতি বৃষ্টি এবং আবহাওয়ার অন্যান্য কারণে নূরজাহানের ওজন ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
হিমাচলে রুক্ষ পাহাড়ে বরফের মাঝে ‘ছদ্মবেশে' তুষারচিতা! ভাইরাল হল এই ছবি
মশুরী বলেন, “এর আগে অনেকবারই কাত্থিওয়াড়ার বাইরে অনেক লোক নূরজাহানের কলম রোপন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু গাছ হয়নি। আমের এই বিশেষ প্রজাতি ঋতুর পরিবর্তনে অত্যধিক সংবেদনশীল। এর প্রচুর যত্ন প্রয়োজন।” মশুরী জানান যে গত বছর শিলাবৃষ্টিতে নূরজাহানের মুকুল ঝরে যায়। এই বার নূরজাহানের ভালো ফলন নিয়ে তাঁরা আশাবাদী।
Click for more
trending news