কথা ছিল আজই তাদের প্রথম মিলনের দিন হবে। প্রেমঘন ইতিবাচক কিছু ফলাফলও আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু লন্ডনের চিড়িয়াখানায় একটি বিরল প্রজাতির বাঘ এবং তার সঙ্গীর প্রথম মিলন বিয়োগান্তক হয়েই রইল।
মেলাটি অন্যতম বিরল এবং ছোট প্রজাতির সুমাত্রার বাঘ। তাকে নতুন সঙ্গী অসীমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের সাক্ষাৎকার শুরু হওয়ার পরে দ্রুত তা চরম আকার ধারণ করে।
তৃণমূল বিধায়ককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন
তর্জন গর্জন শুনে চিড়িয়াখানার কর্মীরা আর কোন রিস্ক নিতে পারেননি। তারা দুজনকে দুজনের কাছ থেকে দূরে সরাতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চান। কিন্তু কিছু করে ওঠার আগেই অসীম মেলাটির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মেরে ফেলে।
ঘটনার পরে চিড়িয়াখানা তরফে একটি মন্তব্য বলা হয়েছে, ‘‘লন্ডনের জেএসএল চিড়িয়াখানার সকলেই মেলাটির এই অকালমৃত্যুতে শোকগ্রস্থ।''
‘ইউরোপীয় কনজারভেশন প্রোগ্রাম'-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী অসীমকে জেএসএল চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল এবং অসীম ও মেলাটির মধ্যে মেলামেশার মাধ্যমে তাদের প্রজাতির বাঘের সংখ্যা বাড়ানো।
Google Doodle: শেষ নাটকের মঞ্চেই প্রাণ হারান নাট্যকার মোলিয়্যঁরের, বিশেষ শ্রদ্ধায় গুগল ডুডল
সাত বছর বয়সী অসীমকে ১০ দিন আগে আনা হয় এবং দু'টি বাঘকে কাছাকাছি দু'টি ঘেরাটোপের মধ্যে রাখা হয় যেখানে তারা পরস্পরের সঙ্গে মেলামেশা করতে না পারলেও একে অপরের গন্ধ শুঁকতে পারে। বেশ ভালভাবে কয়েকদিন পর্যবেক্ষন ও নজর রাখার পরে বিশেষজ্ঞদের মনে হয় এ বার তাদের এক খাঁচায় ছেড়ে দেখা যেতে পারে। সেই মতো শুক্রবার সকালে দুজনের মাঝের দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু চিড়িয়াখানার কর্মীদের অবাক করে দিয়ে অসীম মেলাটিকে আক্রমণ করে।
মেলাটির এই আকালমৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না জেএসএল চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তারা এখন মনে করছেন যতই চেষ্টা করা হোক বাঘের মেজাজ তো, আগে থেকে আঁচ পাওয়া যায় না।
ঘটনার পরে সে দিনের জন্য বাঘের খাঁচা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সে বিষয়ে একটি টুইট করে জানান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বাঘ কূলে সবচেয়ে ছোট প্রজাতির হয় সুমাত্রার বাঘেরা। তাদের গায়ে কমলা রঙের উপরে চওড়া কালো দাগ থাকে। ডব্লিইডব্লিইএফ নামে একটি অলাভজনক সংস্থার মতে ইন্দোনেশিয়ান বাঘ বিপন্ন প্রজাতির। তাদের সংখ্যা বর্তমানে ৪০০। তাই সেখানে বাঘ ধরলে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও খবর দেখুন এখানে