This Article is From Feb 13, 2020

"প্রেমে পড়েছিলাম, বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল, " জীবনের আর কী অজানা তথ্য ফাঁস করলেন রতন টাটা?

৮২ বছরের রতন টাটা (Ratan Tata) জানিয়েছেন, তাঁর শৈশব খুবই আনন্দের সঙ্গে কেটেছিল।

"হিউম্যানস অফ বোম্বে," নামক একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনে রতন টাটা

হাইলাইটস

  • "হিউম্যানস অফ বোম্বে," নামক ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনেরতন টাটা
  • ৮২ বছরের রতন টাটা জানিয়েছেন, তাঁর শৈশব খুবই আনন্দের সঙ্গে কেটেছিল
  • বাবার সঙ্গে নিজের দূরত্বের কথাও খুলে বলেছেন তিনি

শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata) জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে প্রায় হয়েই যাচ্ছিল! তখন লস এঞ্জেলেসে স্নাতক হওয়ার পর কাজ করছিলেন তিনি। "হিউম্যানস অফ বোম্বে," নামক একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনে রতন টাটা জানিয়েছেন, তাঁর মা-বাবার ডিভোর্স এর পর কেমন ছিল তার জীবন! ঠাকুমার সঙ্গে কীভাবে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। কীভাবে ঠাকুমা তাঁকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন। আর কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর প্রেমের গল্প, কেনই বা সেই সম্পর্ক ভেঙে গেল সবকিছুই জানিয়েছেন তিনি।

তিনটি ভাগে এই সিরিজ। যেখানে ৮২ বছরের রতন টাটা জানিয়েছেন, তাঁর শৈশব খুবই আনন্দের সঙ্গে কেটেছিল। যদিও তাঁদের মা-বাবার ডিভোর্স নিয়ে তাঁকে এবং ভাইকে অনেক সময়ই টিটকিরিও শুনতে হয়েছে।রতন টাটার বাবা মা  নভল (Naval Tata) এবং সুনি টাটা আলাদা হয়ে যান যখন তাঁর দশ বছর বয়স ছিল।ঠাকুমা নাভাজবাই টাটার কাছেই বড় হয়েছিলেন রতন টাটা।

গত রাতেই একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন রতন টাটা (Ratan Tata) যা রীতিমত এখন ভাইরাল। টাটা সন্স-এর এমিরেটস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তার ঠাকুমার দেওয়া মূল্যবোধের কথা।

"আমার এখনও মনে আছে  WW2 এর  পরে, তিনি আমাকে আর আমার ভাইকে গরমের ছুটিতে লন্ডনে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন, আর হ্যাঁ, সেখানেই মূল্যবোধগুলো যেন হাতুড়ি পিটিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের মধ্যে," জানিয়েছেন তিনি। তিনি আমাদের বলতে পারতেন, 'এটা বলো না' , 'চুপ করে থাকবে,' বদলে তিনি বলেছিলেন, 'সবকিছুর থেকে উপরে হল সম্মান,' আর তার এই কথাটাই আমাদের আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে দিয়েছিলেন তিনি।"

বাবার সঙ্গে নিজের দূরত্বের কথাও খুলে বলেছেন তিনি। "আমি চেয়েছিলাম ভায়োলিন শিখতে, বাবা জোর করেছিলেন পিয়ানোতে, আমি চেয়েছিলাম আমেরিকার কলেজে ভর্তি হতে বাবা জোর করেছিল ইংল্যান্ডে যেতে, আমি চেয়েছিলাম আর্কিটেক্ট হতে বাবা জোর করেছিল যাতে আমি ইঞ্জিনিয়ার হই," জানিয়েছেন তিনি।

যদিও রতন টাটা আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তাঁর ঠাকুমার জন্যই। আর্কিটেক্টের ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। যা শুনে বাবা খুবই দুঃখ পেয়েছিলেন। এরপর লস এঞ্জেলেসে একটি চাকরিও করেন তিনি। দু'বছর সেই চাকরি করেছিলেন তিনি। 

"সেই সময়টা বড়ই সুন্দর ছিল। আবহাওয়া খুব মনোরম ছিল। আমার নিজের একটা গাড়ি ছিল। আমি আমার কাজকে ভীষণ ভালবাসতাম।" স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি।

লস-এঞ্জেলেসে যখন রতন টাটা প্রেমে পড়েন এবং প্রায় তাদের বিয়েও হয়েই যাচ্ছিল কিন্তু তাঁর ঠাকুমার শরীরটা সে সময় ভালো যাচ্ছিল না তাই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন যে প্রেমিকাও তাঁর সঙ্গে ভারতে চলে আসবেন। "কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত চিন যুদ্ধের সময় তাঁর প্রেমিকার অভিভাবকেরা চাননি যে সে এখানে আসুক যার ফলে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল।" জানিয়েছেন টাটা।

পুরো পোস্টটি নিচে আপনারা পড়তে পারেন।

অনলাইনে শেয়ার করার পর থেকে এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। ২১ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে এই পোস্টটিতে। ২০০০ শেয়ার হয়েছে, একশোরও বেশি কমেন্ট এসেছে এতে।

"তাঁর পরিবার সত্যিই ভারতবর্ষকে তাঁদের স্টিল দিয়ে তৈরি করেছেন তবুও তাদের তাঁর নম্রতা মুগ্ধ হবার মত," লিখেছেন একজন।

আবার আরেকজন লিখেছেন, "HOB তে সবথেকে ভালো সিরিজ আসছে। রতন টাটা স্যারের বিষয়ে সব ভারতবাসী জানতে চায়।" "তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। মুখিয়ে আছি এই অবিশ্বাস্য মানুষটি সম্পর্কে আরও কিছু পড়তে," তৃতীয় ব্যক্তি কমেন্ট করেছেন এমনই।

Click for more trending news


.