হাইলাইটস
- আজ 14 ই জুলাই উড়িষ্যার পুরীতে রথ যাত্রা শুরু হয়েছে
- কথিত আছে গুন্ডিচা মন্দিরই তাঁদের মাসির বাড়ি
- রথযাত্রা শুরু হওয়ার আগে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হয়
পুরী: প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও পবিত্র রথ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, আজ 14 ই জুলাই উড়িষ্যার পুরীতে রথ যাত্রা শুরু হয়েছে।আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে জগন্নাথ পুরীতে এই রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অর্থাৎ জগন্নাথ মন্দির থেকে রথে করে ঘুরতে যান, তাঁরা তাঁদের মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বলে কথিত আছে।কথিত আছে গুন্ডিচা মন্দিরই তাঁদের মাসির বাড়ি।
রথযাত্রা শুরু হওয়ার আগে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হয়। এরপর প্রারম্ভিক বাদ্যযন্ত্র সহকারে শতকোটি ভক্ত রথের দড়ি ধরে টানে। এই পঙ্কিতে সবার আগে থাকে ভগবান বলরামের রথ, তারপর যায় দেবী সুভদ্রার রথ আর সবশেষে টানা হয় ভগবান জগন্নাথ দেবের রথের দড়ি।
প্রচলিত আছে যে, যারা এই রথের দড়ি ধরে টানার সুযোগ পায় তাদের নাকি সমস্ত দুঃখ দূর হয়ে যায় এবং তারা মোক্ষ লাভ করে। নগর ভ্রমনের পরে সন্ধ্যে বেলায় এই তিনটি রথ গিয়ে পৌঁছায় গুন্ডিয়া মন্দিরের সামনে। পরের দিন ভগবান রথ থেকে প্রস্থান করে মন্দিরে প্রবেশ করেন আর পরবর্তী সাতদিন সেখানেই অতিবাহিত করেন তাঁরা। এই রথযাত্রার পবিত্র তিথিতে মাসির বাড়িতে অনেক সুস্বাদু খাবার, ফল-মূল ভোগ হিসাবে অর্পণ করা হয়।
ভালো ভালো খাবার খেয়ে ভগবান আসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপর তাঁকে পথ্যের ভোগ অর্পণ করা হয়, তাতে তাঁর শরীর ঠিক হয়ে যায়।ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রসাদকে মহাপ্রসাদ বলা হয়, এই দিন গুলিতে নারকোল, গজা, মালপোয়া প্রভৃতি ভোগ বেশি করে অর্পণ করা হয়। মাসির বাড়িতে এক সপ্তাহ অতিবাহিত করার পরে তাঁরা পুনরায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন।
রথযাত্রার সময় ভগবান জগন্নাথের দশাবতারের পূজা করা হয়।এই সময় বিষ্ণু, কৃষ্ণ, বামন এবং বুদ্ধ অবতারের পূজা করা হয়। দীপাবলি, রক্ষাবন্ধন প্রভৃতির মতো পুরীর রথযাত্রাও ভারতের একটি অন্যতম পবিত্র উৎসব। অটুট ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে এই উৎসব পালন করা হয়। পুরী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আজকের দিনে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার শোভা দেখা যায়।