হাইলাইটস
- সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে পেছোলো বাংলাদেশ পুরসভা নির্বাচন
- ভারতের মতোই বাণীবন্দনায় রত সেখানকার পড়ুয়ারা
- পুজোর আবহে রাজনীতিকে না জড়াতেই পিছোল নির্বাচন
অনেকেরই হয়ত জানা নেই, ভারতের মতোই সমান শ্রদ্ধা-ভক্তির সঙ্গে Bangladeshও পূজিতা দেবী সরস্বতী।এবছর ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারি সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাগদেবীর আরাধনা। পাশাপাশি, বাংলাদেশে Civic Election-র দিন স্থির হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি। কিন্তু বাণীবন্দনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্যই নির্বাচনের দিন পিছিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি স্থির করেছে সেদেশের সরকার।
নির্বাচন পিছোতেই এদেশের মতোই সরস্বতী পুজোয় মেতে ওঠেন বাংলাদেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, আবালবৃদ্ধবণিতা। ঘরে, স্কুলে, কলেজে, পাড়ায় সুন্দর মঞ্চ বেঁধে আয়োজন করা হয়ে সারস্বত বন্দনার। দুই দেশের কাঁটাতারের বিভেদ বদলাতে পারেনি দুই দেশের পুজোর পরিবেশ। ভারতের মতোই বাংলাদেশেও দেবী বীণা-পুস্তক হাতে পূজিতা বনেদি রূপে। কোথাও তাঁর গায়ে আধুনিকতার প্রলেপ। বিদ্যার পাশাপাশি মনের অ-বিদ্যা ঘুচিয়ে দেশে, বিশ্বে শান্তির প্রার্থনা জানিয়েছেন সেদেশের নাগরিক। Dhaka বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি বলছে, সেখানকার জগন্নাথ হলে ধুমধাম করে পূজা হয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সহ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুজো এবং প্রতিমার ছবি:
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাংবাদিক সোমা ইসলামের কাছে কৌতূহলী প্রশ্ন ছিল, ভারতের মতোই কি বাংলাদেশেও সাড়ম্বরে পুজো হয়? তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশি দেশের জন্য একমুঠো ছবি উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের আঁচে তপ্ত। কিন্তু পুজোর সঙ্গে রাজনীতিকে কেউই এক করতে চান না। তাই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমার পাঠানো ছবির মধ্যে ১৯টি ছবি তুলে ধরা হল। প্রতিটি ছবিটি বলছে, দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বিভেদ থাকলেও পুজোর পরিবেশ এক্কেবারে এক। দেবী প্রতিমার পায়ে অঞ্জলি দিয়ে এদেশের শিক্ষার্থীদের মতোই বাংলাদেশি পড়ুয়ারাও জ্ঞান-বিদ্যা-বুদ্ধি চেয়েছেন। একই সঙ্গে প্রার্থনা জানিয়েছেন দুষ্টের দমনের। বিশ্বে যাতে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে তার প্রার্থনাও জানিয়েছেন সবাই।
সতর্কীকরণ: সমস্ত তথ্য Ravish Kumar-এর ব্যক্তিগত। এই নিবন্ধের জন্য NDTV দায়ী নয়।