This Article is From Aug 02, 2019

ম্যাগসাইসাই ২০১৯-এ সম্মানিত NDTV প্রাইম টাইম-এর নির্ভীক সাংবাদিক রভীশ কুমার

শুধু রভীশের বিশ্লেষণ শুনতে সকালে চ্যানেলের প্রাইম টাইম শোনার অপেক্ষায় বসে থাকেন তাঁর বহু ভক্ত শ্রোতা-দর্শক

ম্যাগসাইসাই ২০১৯-এ সম্মানিত NDTV প্রাইম টাইম-এর নির্ভীক সাংবাদিক রভীশ কুমার

ম্যাগসাইসাই ২০১৯ সম্মানে সম্মানিত রভীশ কুমার

নিউ দিল্লি:

রভীশ কুমার (Ravish Kumar) মানেই সাহসী সাংবাদিকতা। জ্বলন্ত সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণ। রভীশ কুমার মানেই মৌন অত্যাচারিতদের মুখে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে জ্বলে ওঠা ("harnessing journalism to give voice to the voiceless")। দীর্ঘ কয়েক দশকের বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশ কুমার এভাবেই NDTV-কে সমৃদ্ধ করে চলেছেন নির্ভীক সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার করে। শুধু রভীশের বিশ্লেষণ শুনতে সকালে চ্যানেলের প্রাইম টাইমের অপেক্ষায় বসে থাকেন বহু ভক্ত শ্রোতা-দর্শক। সেই সাংবাদিক তাঁর কাজের জন্য সম্মানিত হলেন এশিয়ার সেরা সম্মান রামোন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ২০১৯ পুরস্কারে (2019 Ramon Magsaysay Award)। এই পুরস্কার রভীশকে এনে দিল এশিয়ার সেরা সাংবাদিকের স্বীকৃতি ("greatness of spirit and transformative leadership in Asia")। 

সম্মান জ্ঞাপক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাইম টাইমে রভীশ বরাবর সেইসব মানুষদের কথা, সেই সব ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন যা প্রতিমুহুর্তে বিপর্যস্ত করেছে জাতীয় জীবনকে। যাঁদের হয়ে মুখ খোলেনি কেউ, রভীশ গর্জে উঠেছেন তাঁদের হয়ে।

কুলভূষণকে পাকিস্তানের দেওয়া কনস্যুলার অ্যাক্সেসের বিষয় খতিয়ে দেখবে ভারত

সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যখনই কোনও সাংবাদিক সাধারণের মুখের ভাষা হয়ে ওঠেন তখনই তিনি প্রকৃত সাংবাদিক। রভীশ বরবার তাঁর নিউজ রুমকে জনতা জনার্দনের নিউজ রুম বলে পরিচয় দিয়েছেন সবার কাছে। নিক্তি মেপে তুল্যমূল্য বিচার করেছেন ভালো-মন্দের। কখনও কারোর দিকে বা কারোর পক্ষ নিয়ে একতরফা বলেননি। নিরপেক্ষ থেকে, নির্ভীক ভাবে ঘটনা বা খবরের বিশ্লেষণ করে গেছেন।

রভীশ ছাড়াও এই বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন আরও চার সাংবাদিক। এঁরা, মায়ানমারের কো সুয়ে, থাইল্যান্ডের অঙ্গখানা নীলাপাইজিৎ, ফিলিপিন্সের রেমুন্ডো পুজান্তে সায়াবায়াব, সাউথ কোরিয়ার কিম জং কি।

১৯৯৬-এ রাতদিন সাতদিন হিসেবে হিন্দি নিউজ চ্যানেল NDTV ইন্ডিয়া চালু হওয়ার পর থেকেই নিজের শো প্রাইম টাইম নিয়ে যোগ দেন রভীশ। বিহারের জিতওয়ারপুরের এই বাসিন্দা বরাবরই আগ্রহী ভারতের ইতিহাস এবং জনসংযোগ মাধ্যম নিয়ে। তিনি তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর হন।

পুরস্কার দেওয়ার সময় রভীশকে দেওয়া মানপত্র পড়ে শোনানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। মানপত্রে সাংবাদিকের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, শুধুই নির্ভীক নন, রভীশ অত্যন্ত মার্জিত, স্থিতধী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একই সঙ্গে তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন এবং সময়ে সময়ে আক্রমণাত্মকও। তবে কখনও তিনি তাঁর অতিথির সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেননি। বরং কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনেদের। একই সঙ্গে প্রতিটি খবরের গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন তিনি। 

কাশ্মীর নিয়ে কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই আলোচনা: ট্রাম্পের প্রস্তাবের জবাবে ভারত

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রামন ম্যাগসাইসাই পুরষ্কারের জন্য ২০১৮-য় রভীশ কুমারকে বেছে নেয় পুরস্কার কমিটি। তাঁর নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য। তাই সংস্থার আশা, যোগ্য ব্যক্তির হাতেই যোগ্য সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এভাবেই যাতে তিনি তাঁর চ্যানেলকে এবং দেশবাসীকে প্রতি মুহুর্তে সমৃদ্ধ করতে পারেন, সেই শুভেচ্ছা সংস্থা জানিয়েছে রভীশ কুমারকে।

.