২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর সরকারকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন অনুমোদনটি পাঠায়, ততদিনে একমাস পেরিয়ে গিয়েছে।
হাইলাইটস
- নোটবাতিল নিয়ে ৪'টি কারণ দেখিয়ে আপত্তি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
- নোটবাতিলের ঘোষণার আগে মাত্র আড়াই ঘন্টা সময় পেয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
- রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড অনুমোদন দেওয়ার আগেই ঘোষণা হয়ে যায়
নিউ দিল্লি: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর গোটা দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করা যে ঘোষণাটি শুনে এক লহমার জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই নোট বাতিল নিয়ে প্রাথমিকভাবে রীতিমত চারটি কারণকে তালিকা করে দেখিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। পরে 'বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থে' এই প্রস্তাব মেনে নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একটি আরটিআই-এর প্রতিক্রিয়ায় এই তথ্যটি পাওয়া গিয়েছে। জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তৃতার আগে মাত্র আড়াই ঘন্টা সময় পেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বোর্ড। ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটের বাতিল হওয়ার ফলে বাজার থেকে তুলে নিতে হয়েছিল ৮০ শতাংশ নোট। এত বড় ঘোষণাটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বোর্ডের অনুমোদনের আগেই করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর সরকারকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যখন অনুমোদনটি পাঠায়, ততদিনে নোট বাতিলের একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, নোট বাতিলের স্বপক্ষে দেওয়া কেন্দ্রের যুক্তিগুলির অনেক যুক্তিই মানতে অস্বীকার করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুনঃ সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই জইশ জঙ্গিদের, নিহত পুলওয়ামা হামলার চক্রী
আরটিআই বা রাইট টু ইনফর্মেশন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বৈঠকে বলা হয়েছিল, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তটি 'প্রশংসনীয় পদক্ষেপ', তবে 'চলতি বছরের জিডিপি'-এর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া, যেহেতু, বেশিরভাগ কালো টাকাই সোনা অথবা রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করা থাকে, তার ফলে, নোট বাতিল হওয়ায় কালো টাকার মালিকদের যে খুব বেশি চাপে পড়তে হবে না, তেমনটাও মনে করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বোর্ড।