হাইলাইটস
- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত শোভন চট্টোপাধ্যায়।
- 'বিজেপি যা বলবে তা মেনে চলবো': শোভন চট্টোপাধ্যায়
- সিবিআইয়ের থেকে বাঁচতে বিজেপিতে আসিনি, দাবি প্রাক্তন মেয়রের
কলকাতা: তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chaterjee)। পতাকার রং বদলালেও আগের মতো নতুন দলের প্রতিও আনুগত্যবোধ বজায় রাখতে চান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। জানিয়ে দিলেন, দল চাইলে ২০২১ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে রাজি তিনি। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবারই বিজেপির রাজ্য দফতরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলেন, ‘‘দল নির্দেশ দিলে আমার এই লড়াইতে আপত্তি নেই। যখন তৃণমূলে ছিলাম দলের শাসন মেনেছি। এখন বিজেপি বললেও তাই করবো।'' এতদিন দিদির প্রিয় কাননের গলায় শোনা যেত, মুখ্যমন্ত্রীই তাঁর রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক। বর্তমানে সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। রাজনীতিতে এ সবকে আর প্রাধান্য দিতে রাজি নন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
২০২১ বিধানসভা ভোটে মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prasant Kishor) কাজে লাগিয়েছে তাঁর প্রাক্তন দল। বিজেপি কি তাই সামান্য হলেও বেকায়দায়? উপহাস করে শোভনের উত্তর ‘‘দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে।'' প্রাক্তন দলের তরফে কানাঘুষো নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের ভয়েই গেরুয়া দলে ভিড়েছেন প্রাক্তন মেয়র। সে সব উড়িয়ে তাঁর জবাব, ‘‘অভিযোগ ও প্রমাণের মধ্যে অনেক তফাৎ।''
তৃণমূলে পুরানোদের কোনও স্থান নেই: শোভন চট্টোপাধ্যায়
ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা বৃদ্ধির জন্য একদা দলনেত্রীকেই দায়ী করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chaterjje)। এ ছাড়া, তাঁর কথা অনুযায়ী, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রয়োজন ছিল কিনা সংগঠনের অন্দরে নেত্রীর সামনেই তা নিযে প্রশ্ন তোলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যার পরিণতি ভয়ঙ্কর বলে দাবি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তৃণমূলে পুরনোদের স্থান নেই বলে আগেই সরব হয়েছিলেন তিনি। যে কারণে বিজেপিতে তিনি যোগ দিয়েছেন বলে জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মন্ত্রিত্বের পর মেয়র পদও ছাড়লেন শোভন, ইস্তফা গৃহিত হল
প্রাক্তন সতীর্থের অভিযোগকে আমল দিতে রাজি নন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partho Chaterjee)। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য জানে শোভন চট্টোপাধ্যায় হওয়ার পিছনে কার অবদান সব চেয়ে বেশি। ২০১৬ সালে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'বারের কলকাতার মেয়র। ফলে অন্য দলে গিয়ে এ সব বলতে হচ্ছে তাঁকে। মানুষ তৃণমূলেই আস্থা রেখেছেন।''
২০১৮ সালের নভেম্বরে মন্ত্রীত্ব ও মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পারিবারিক কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দিলেও, এখনও বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়।