This Article is From Jul 04, 2018

সুপ্রিম তোপে দিল্লির উপরাজ্যপাল, দশটি পয়েন্ট

সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচরাপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। মামলা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

সুপ্রিম তোপে দিল্লির উপরাজ্যপাল,  দশটি পয়েন্ট

মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যপাল, কার হাতে দিল্লি, আজ শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়

নিউ দিল্লি:

এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে রাজ্য পরিচালনার  ক্ষমতা জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকারেরই। স্বভাবতই এই রায়ে খুশি আপ শিবির।  দিল্লি হাইকোর্টে পরাস্ত হওয়ার পর এই জয় তাদের মনোবল অনেকটাই বাড়াল।

দিল্লির উপরাজ্যপালের সুপ্রিম অস্বস্তি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল কোনও অবস্থাতেই নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করা যাবে না। রাজধানীর উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের মাধ্যমে তাঁর সরকারের কাজে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই বক্তব্যকে তুলে ধরেই  আদালতে মামলা  হয়েছিল। দীর্ঘ শুনানির পর আজ রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের  প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে মামলা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেবার পরাজিত হন অরবিন্দ। কিন্ত এবার তাঁর দাবিকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।  

কী  বলল  আদালত? দেখে নিন দশটি পয়েন্ট। 

1) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত সরকারের গুরুত্ব সর্বাধিক। সেই স্বাধীনতা রাজ্য প্রশাসনের থাকা উচিত। একই সঙ্গে অযাচিত হস্তক্ষেপ কখনই কাম্য নয়। জনাদেশ অস্বীকার করার কোনও পথ নেই।       

2) এখানে স্বৈরাচারের কোনও স্থান নেই.।   

3)  উপরাজ্যপালের  এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।  

4)  উপরাজ্যপাল সীমিত ক্ষমতা সম্পন্ন একজন প্রশাসক , রাজ্যপাল নন।  তিনি রাজ্য পরিচালনার জন্য মন্ত্রিসভাকে পরামর্শ দিতে পারেন মাত্র।        

5) উপরাজ্যপালের উচিত দিল্লি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলা।   

6)  রাজ্যের  মন্ত্রিসভা  যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে সেগুলি উপরাজ্যপালকে জানাতে হবে। কিন্ত সর্বসম্মতির প্রয়োজন নেই।    

7) উপরাজ্যপাল ও মন্ত্রিসভার মধ্যে মত পার্থক্য থাকা ঠিক নয়। 

8) ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া কোনও সাধারণ বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে সেটা উপরাজ্যপাল রাষ্ট্রপতিকে জানাতে পারেন না।   
  
9) আইন-শৃঙ্খলা বা জমি সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়া  অন্য কোনও ব্যাপারে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা উপরাজ্যপালকে সংবিধান  দেয়নি। 

10 )  সংবিধানকে শ্রদ্ধা করা ও মেনে চলা সমস্ত নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।  কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।  

.