রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ পুরোহিত কাজ হারিয়ে এখন অথৈ জলে। নেপথ্যে সংক্রমণ ও লকডাউন। (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
- সংক্রমণের জেরে স্থগিত বিয়ে থেকে পুজো। কাজ হারিয়ে অনটনে পুরোহিতরা
- রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ পুরোহিত এখন কর্মহীন। এঁদের অনেকের পেশা শুধুই পুজো
- মুখ্যমন্ত্রীর স্বারস্থ হতে চিঠি লিখবেন তারা, জানিয়েছে পুরোহিত সংগঠন
কলকাতা: মন্দার কবলে এবার পুরোহিতরা। স্থগিত কিংবা বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক পুজো-সহ সামাজিক অনুষ্ঠান (Festival and Marriage)। ফলে, রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ পুরোহিত কাজ হারিয়ে এখন অথৈ জলে। নেপথ্যে সংক্রমণ ও লকডাউন (Lockdwon)। জানা গিয়েছে, সংক্রমণ আতঙ্ক ও লকডাউনের জেরে একাধিক হিন্দু উৎসব, পুজো, সামাজিক অনুষ্ঠান বাতিল কিংবা স্থগিত হয়েছে। ফলে ডাক পাচ্ছেন না পুরোহিতরা। সেই প্রভাবে তাঁরা কর্মহীন। সোমবার এমনটা জানিয়েছেন, হিন্দু পুরোহিত সংগঠনের এক পণ্ডিত। এই দু'লক্ষ পুরোহিতের বেশিরভাগের পেশা পুজো-অর্চনা, বিয়ে সম্প্রদান কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করা। এমনকি, মন্দিরেও নেই জমায়েত। তাই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অনেক পুরোহিত। এমনটাই দাবি করেছেন সেই পণ্ডিত। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের মুখপাত্র বলেছেন, "যদি আগামী কয়েকমাস এই পরিস্থিতি চলে, তাহলে পুরোহিতদের কী হবে? আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থনা করে উনাকে চিঠি লিখব। রাজ্যব্যাপী প্রায় ২ লক্ষ পুরোহিত কর্মহীন। সেই প্রসঙ্গ সেই চিঠিতে তুলে ধরব।"
২ ব্যক্তির শরীরে প্রথম দু'বার নেগেটিভ হলেও তৃতীয়বারের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ!
এ বিষয়ে অনিন্দ্য মিত্র নামে এক প্রৌঢ় জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে পৃথ্বিরাজের বিয়ে ঠিক হয়েছিল মে মাসে। কিন্তু সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে পরিবার সেই নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, "সূচি মেনেই বিয়ে আয়োজন করতে অনুরোধ করেছিলেন আমাদের পারিবারিক পুরোহিত। কিন্তু আমরা ঝুঁকি নিতে পারিনি। নভেম্বরের আগে নির্ঘণ্ট মেনে সেই আয়োজন করতে পারব বলে মনে হয় না।" তাঁর আক্ষেপ, "আমাদের মতোই অনেক পরিবারের অনুষ্ঠান এভাবে হাতছাড়া হয়েছে ওই পুরোহিতের।" প্রশান্ত চক্রবর্তী নামে এক পুরোহিত বলেছেন, " সোদপুর আর বেলঘরিয়া মিলিয়ে আমি মোট ৩টি বাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজো করতাম। কিন্তু মার্চের শেষ সপ্তাহে সেই কাজ হাতছাড়া হয়েছে। এভাবেই এক এক করে সব কাজ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।"
রাজ্যে আরও বেশি করে হোক কোভিড-১৯ পরীক্ষা, দাবি সূর্যকান্ত মিশ্রর
"আগামী দিনেও এই অনটন চললে স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে এবার না খেতে পেয়ে মরব।" বিলাপের সুরে এই কথা বলে ওই পুরোহিতের আরও দাবি, "অন্নপূর্ণা পুজো আর হালখাতা মিলিয়ে প্রতি বছর আমি ৬-৭ হাজার টাকা আয় করতাম। কিন্তু এখন সেই সব অতীত। সংক্রমণের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা বাতিল করেছেন হালখাতার পুজোও।" দুর্গা পুজো ও কালীপুজোর মরশুমের আগে এই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। এদিন এমন আশা প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত চক্রবর্তী। সেই পুরোহিত আরও বলেছেন, "আমি শেষ গৃহপ্রবেশের পুজো করেছি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)