লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন এন্টালি থানার পুলিশ কর্মীরা ।
হাইলাইটস
- আবারও রোগীর আত্মীয়দের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
- এবার ঘটনাস্থল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ
- গতকাল রাতে বছর পঁচাত্তরের এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে
কলকাতা: আবারও রোগীর আত্মীয়দের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার ঘটনাস্থল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ (NRS Medical Collage) । গতকাল রাতে বছর পঁচাত্তরের এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে। পরিবারের দাবি চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা না করাতেই প্রাণ গিয়েছে তাঁর। এরপরই মহম্মদ শাহিদ নামে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ সে সময় তাঁরা কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করেছেন। গোলমাল বাড়তে থাকে। হাসপাতাল কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন এন্টালি থানার (Entaliy Police Station) পুলিশ কর্মীরা । তাতে একজন চিকিৎসক গুরুতর আহত হন।
পুলিশের একাংশ কাজ করছে না, মানলেন মমতা, পদত্যাগ করুন, দাবি বিজেপির
রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকেই আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসক। হাসপাতালের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন ৫০ জন চিকিৎসক। রাতের পর বুধবার সকালেও সেই ঘটনার রেশ বজায় থাকে। কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এন আর এস হাসপাতালের (NRS) বহির্বিভাগের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্য মেডিকেল কলেজ গুলিতেও শুরু হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকে নানা জায়গায়। চিকিৎসকদের দাবি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনও কাজ করবেন না। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এনআরএস(NRS) হাসপাতালে গিয়ে জানান জরুরি পরিষেবা বন্ধ হয়নি। তবে জুনিয়ার জুনিয়ার চিকিৎসকরাও যাতে পরিষেবা দেওয়ার কাজে ফিরে আসেন তার জন্য ওদেরর সাথে কথা বলছি।
সপ্তদশ লোকসভার প্রোটেম স্পিকার হচ্ছেন বিজেপির ড. বীরেন্দ্র কুমার
পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন কাজে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাও। সাংবাদিকদের তিনি জানান জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার জুনিয়র চিকিৎসকরা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এবার উত্তাপ ছড়াল এনআরএস হাসপাতালে।