মুকেশ আর অনিল আম্বানির মধ্যেকার সৌহার্দ্য বরাবরই মজবুত
হাইলাইটস
- সোমবার এরিকসনকে ৪৫৮.৭৭ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে
- তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব নেন মুকেশ আম্বানি
- অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন
নিউ দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক একদিন আগে সুইডিশ টেলিকম সংস্থা এরিকসনকে (Swedish telecom giant Ericsson) টাকা ফিরিয়ে দিয়ে জেলের মুখ দেখার থেকে একটুর জন্য বাঁচলেন দেশের শিল্পপতি অনিল আম্বানি (Industrialist Anil Ambani)। তাঁর এই অসময়ে পাশে থেকে সময়মতো বাঁচানোর জন্য নিজের ভাই, তথা দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) ধন্যবাদ জানালেন অনিল আম্বানি।
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (Reliance Communications) সোমবার এরিকসনকে ৪৫৮.৭৭ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। গত মাসেই, সুপ্রিম কোর্ট রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস বা আরকম এবং তার দুই পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এরিকসনকে বকেয়া টাকা প্রদানের আদেশ দেয়, এই আদেশ না মানা হলে আদালত অবমাননার জন্য তিন মাসের কারাদন্ডের সম্মুখীন হতে হত অনিল আম্বানিকে।
রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যায্য দাবি কোনওভাবেই মানবে না বামফ্রন্ট, জানাল সিপিআই
গত রাতে অনিল আম্বানি একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে সাহস জোগানোর জন্য বড় ভাই মুকেশ এবং বৌদি নিতাকে আমার আন্তরিক ও অশেষ ধন্যবাদ, এবং এই সময়মতো সমর্থন আমাদের দৃঢ় পরিবারের মূল্যবোধ যে কতখানি সৎ তাই প্রদর্শন করে।”
টেলিকম ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে অনিল আম্বানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বছরের পর বছর ধরে ভারী ঋণের সম্মুখীন থেকেছে বলেও জানান তিনি। ২০০২ সালে তাঁদের বাবা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর আগে একটি উইল করে যান। তারপরেই তাঁরা নিজেদের ব্যবসা ভাগ করে নেন, অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব নেন মুকেশ আম্বানি।
রাত ২টোয় শপথ নিলেন গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত: ১০ টি তথ্য
২০১০ সালের মে মাসে তাঁদের মা কোকিলাবেন আম্বানি দুইজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে শান্তি ফেরাতে চান। কয়েক মাস পর নিউইয়র্ক টাইমস প্রবন্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়। অনিল আম্বানি তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ১০,০০০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছেন। এই মাসের শুরুতে, অনিল অম্বানি ও তার স্ত্রী টিনা মুকেশ আম্বানির ছেলে আকাশের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আগে আনন্দ পিরামালের সঙ্গে তাঁর ভাইঝি ইশার বিয়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন অনিল।
ফেব্রুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে অনিল এবং রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের ২ কর্মচারীকে জেলে পাঠানো হবে, যদি না ১৯ মার্চের মধ্যে তাঁরা এরিকসনের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেন।