আগ্রা জেলে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হবে (প্রতীকি ছবি)
নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu Kashmi) ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। বিলোপ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। ফলে, উপত্যকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৩০ জন বন্দিকে (prisoners) কাশ্মীর (Kashmir) থেকে নিয়ে আসা হয়েছে আগ্রায়। তাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে বন্দিদের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় আনা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmi) অশান্তি রুখতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে সরকার। সামনেই ঈদ। সেদিন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই বিছিন্নতাপন্থী বন্দিদের জেল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগ্রা কেন্দ্রীয় কারাগারে উপত্যকার এই ৩০ বন্দিকে রাখা হয়েছে।
এক অফিসারের কথায়, গত কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে (Jammu Kashmi) ব্যাপক ধরপাকড় চলেছে। তাতেই বহু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ধরপাকড়ের ফলে উপত্যকার জেলগুলিতে আর জায়গা নেই। এরই মধ্যে বন্দিদের আচরণে জেলের মধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই যারা বেশি দুর্ভোগের কারণ হতে পারেন তাদের বায়ু সেনার বিমানে আগ্রায় নিযে আসা হয়েছে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উপত্যকায়। মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনীও। ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতি সহ জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের কাউকে গৃহবন্দি, আবার কাউকে সতর্কতামূলক গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। যার জেরে বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনের আঁচ পড়তেও শুরু করে। তার জেরেই বন্দিদের জেল স্থানান্তরের ভাবনা প্রশাসনের।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu Kashmi) দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। একটি জম্মু কাশ্মীর, অপরটি লাদাখ। প্রথমটিতে বিধানসভা থাকলেও, লাদাখে তা থাকবে না। উপত্যকার রাজনৈতিকদল পিডিপি ও এনসি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধী। কংগ্রেস সব দেশের অন্যন্য বেশ কয়েকটি দলও বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তানও কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকস্তরে নিযে যেতে চায় ভারত বিরোধীতাকে পোক্ত করতে। এই অবস্থায় তাই উপত্যকার বন্দিদের জেল স্থানান্তর বেশ গুরুত্ববাহী পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।