This Article is From Jan 03, 2020

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড থেকে বাদ বাংলা, কেরল, মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো: দশ তথ্য

এই সিদ্ধান্তে বৈষম্যের অভিযোগ জানিয়েছে বাদ পড়া রাজ্যের শাসক দলগুলি। তাদের দাবি, ওই দিনের ইভেন্টে সব রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড থেকে বাদ বাংলা, কেরল, মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো: দশ তথ্য

নতুন বছরের প্রথম দিন কেন্দ্র রাজ্য ও সরকারি দফতরের তালিকা প্রকাশ করে যারা প্যারেডে অংশ নেবে।

নয়াদিল্লি: ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড (Republic Day Parade) থেকে বাদ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), মহারাষ্ট্র ও কেরলের ট্যাবলো (Tableaux)— যে তিনটি রাজ্যে বিজেপি শাসক দল নয়। সরকার জানিয়েছে, ৩২টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১৬টির ট্যাবলো ওইদিনের প্যারেডে দেখা যাবে। সময়ের অভাবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই সিদ্ধান্তে বৈষম্যের অভিযোগ জানিয়েছে বাদ পড়া রাজ্যের শাসক দলগুলি। তাদের দাবি, ওই দিনের ইভেন্টে সব রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রয়েছে।

রইল এই সংক্রান্ত ১০টি তথ্য:

  1. এই নিয়ে পরপর দু'বছর কেরলের প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাদ পড়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড থেকে। সূত্রানুসারে, এবার কেরলের থিম ছিল রাজ্যের  সনাতন ধর্ম। 

  2. কেরলের আইনমন্ত্রী একে বালান কেন্দ্রকে এই নিয়ে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেরল বা মালয়ালি শুনলেই সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।'' তৃতীয় পর্যায়ের পর কেরলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, এটা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়। 

  3. নতুন বছরের প্রথম দিন কেন্দ্র রাজ্য ও সরকারি দফতরের তালিকা প্রকাশ করে যারা প্যারেডে অংশ নেবে। সেই বিবৃতিতে সরকার বিশেষ করে বাংলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলে, ২০১৯ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বাছাই তালিকায় এভাবেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। 

  4. তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় NDTV-কে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড থেকে বাদ দেওয়াটা বৈষম্যমূলক। এটা করা হয়েছে কারণ কেন্দ্র সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতা করেছে।''

  5. মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করে বাদ পড়ার কারণ দর্শাতে বলে। 

  6. মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের আর এক দল কংগ্রেস অবশ্য এই নিয়ে কোনও কথা বলেনি। চারটি কংগ্রেস শাসিত রাজ্য— পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড় প্যারেডের তালিকায় রয়েছে। 

  7. শরদ পাওয়ারের কন্যা ও তাঁদের দলের নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে মারাঠিতে টুইট করে জানান, প্রজাতন্ত্র দিবস ‘দেশের উৎসব'। তিনি বলেন, সমস্ত রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। 

  8. সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে আগাগোড়া সরব থেকেছে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের রাজ্যে এটি কার্যকর করতে দেবেন না। 

  9. কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রীয় বিচারাধীন বিষয় এবং রাজ্যগুলি তা মেনে চলতে বাধ্য। 

  10. মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গড়তে গিয়েও ব্যর্থ হয়। এনসিপির অজিত পাওয়ারের সহায়তায় সেই দলের কিছু সাংসদকে জোটে নিয়ে বিজেপি সরকার গড়লেও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। নতুন করে সরকার গঠন করে এনসিপি, শিবসেনা ও কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে।  



Post a comment
.