প্রথম থেকেই গোটা পৃথিবী উদ্ধার কাজের দিকে নজর রেখেছিল।
হাইলাইটস
- ফুটবল খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষক দুসপ্তাহেরও বেশি সময় আটকে ছিলেন ওই গুহায়
- থাই প্ৰশাসনকে সাহায্য করেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সরাকর
- আবহাওয়া থেকে শুরু করে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শেষ হয় উদ্ধার কাজ
মায়ে সি / থাইল্যান্ড: শেষ হল যুদ্ধ ! তবে এই যুদ্ধে ঝরল না প্রাণ। বরং এটা ছিল প্রাণ বাঁচানোর যুদ্ধ। নৌ বাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া স্কুল ফুটবল টিমের সদস্য এবং তাদের কোচকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হল।অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার সীমান্তের একটি গুহা চলে যায় জলের তলায়। সেখানেই প্রায় দু সপ্তাহ আটকে ছিল সবাই। স্কুল ছাত্রদের সঙ্গেই ছিলেন তাদের প্রশিক্ষক। কিন্ত পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূল ছিল যে তিনিও কিছুই করতে পারছিলেন না।
প্রথম থেকেই থাই প্রশাসন মরিয়া ভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তবে প্রযুক্তি থেকে শুরু করে অন্য্ সাহায্য প্রয়োজন হওয়ায় হাত বাড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ। জুন মাসের 23 তারিখ থেকে আটকে পড়া পড়ুয়া ও প্ৰশিক্ষককে বাইরে বের করে আনতে বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে প্রথম দফায় কয়েকজনকে বের করে আনা হয়। তারপর রবিবার নাগাদ তদন্তকারী দলের সদস্যরা বুঝতে পারেন এটাই সেরা সময়। আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে ফের ব্যাহত হবে উদ্ধারের কাজ। তাই রাত দিন এক করে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। গুহায় প্রচুর পরিমাণে জল ছিল। সেটা অতিক্রম করে সকলক বাইরে নিয়ে আসা মতে সহজ ছিল না। তার উপর আটকে পড়া পড়ুয়াদের বেশিরভাগেরই বয়স খুব কম। তারা সাঁতারেও তত পটু নয়। এরকম নান প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে এগিয়েছে উদ্ধারের কাজ।
প্রথম থেকেই গোটা পৃথিবী উদ্ধার কাজের দিকে নজর রেখেছিল। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ থেকে শুরু করে অনেকেই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। শেষমেশ সকলের প্রার্থনা কাজে এলো। গুহা থেকে বের করা সম্ভব হলে সবাইকে। উদ্ধার করেই হেলিকপ্টারে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। সেখানেই শিশু ও তাদের প্রশিক্ষকের চিকিৎসা চলছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)