বিস্ফোরণে ওই কারখানা সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে।
বাটালা: পঞ্জাবের (Punjab) বাটালায় (Batala) বাজি কারখানায় (Firecracker Factory) আগুন লেগে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২৭ জন। বৃহস্পতিবার পঞ্জাব পুলিশ একথা জানিয়েছে। ওই কারখানা বেআইনি ভাবে চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও কেউ আছেন কিনা তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে। বাটালার সিনিয়র পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট ওপিন্দরজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘ওই কারখানা বেআইনি ভাবে চলছিল। আমি এর সম্পর্কে আগে জানতাম না। জানলে তখনই ওটা বন্ধ করে দিতাম।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বাটলার সমস্ত কারখানার লাইসেন্স চেক করে দেখছি।''
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যরা উচ্চতর আধিকারিকদের কাছে আবেদন করেছেন কড়া পদক্ষেপ করার জন্য। এক প্রতিবাদী জানাচ্ছেন, ‘‘সরকার এখন আর কী খোঁজখবর করবে... খুনের মামলা রুজু করা হোক উচ্চ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যাঁরা এই কারখানাকে বেআইনি ভাবে চালানোর অনুমতি দিয়েছিল।'' মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেল ৪টের সময়।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ২৩, আহত বহু
ওই দিন গুরুদাসপুরের বাটালায় জলন্ধর রোডের উপরে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটার ফলে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে কারখানার আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ময়না তদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০,০০০ টাকা ক্ষকিপূরণ দেওয়া হবে।
বিস্ফোরণ কাণ্ডের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, কারখানার মালিকরা দশেরা, গুরুপর্ব ও দিওয়ালির জন্য বাজি মজুত করে রেখেছিলেন।
মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের দেহ এরই মধ্যে সনাক্ত করা গিয়েছে। ৫টি দেহ এরই মধ্যে মৃতের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে একই রকমের একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল এই কারখানায়। সেবার একজনের মৃত্যু হয়েছিল ও তিনজন আহত হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা এমনটাই জানিয়েছেন।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল নমুনা সংগ্রহের জন্য যে কোনও সময় চণ্ডীগড়ে পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে।