জায়ান্ট বাথিনমাস আকারে ২০ ইঞ্চি (৫০ সেন্টিমিটার) অবধি বাড়তে পারে
ঝাঁটা দিয়ে অথবা স্প্রে ছিটিয়ে কত আরশোলার প্রাণ নিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এই আরশোলার কাছে ঝাঁটা হোক স্প্রে হোক- সকলই তুচ্ছ! এমনকী একখানা হৃদকম্প ধরিয়েও দিতে পারে সামুদ্রিক আরশোলা। সিঙ্গাপুরের গবেষকরা ভারত মহাসাগরের তলদেশে এমনই একটি বিশাল ‘সামুদ্রিক আরশোলা'র সন্ধান পেয়েছেন। পিটার এনজি এবং সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের দ্বারা পরিচালিত একটি সমুদ্র অভিযানের সময় এই অদ্ভুত প্রাণীটিকে পাওয়া গেছে বলেই ডেইলি মেইল জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা উপকূলে গভীর সমুদ্রের ১৪ দিন ধরে অভিযান চালানোর সময়, এই দলটি ১২,০০০ এরও বেশি গভীর সমুদ্রের প্রাণী সংগ্রহ করেছে - যার মধ্যে বিশালাকার এই আরশোলাও রয়েছে। যদিও আরশোলার বেশ ভারী মতোন নামও রয়েছে, একটি নতুন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই প্রাণীটিকে। এর নাম দেওয়া হয়েছে “বাথিনমাস রাক্ষস”। এই আবিষ্কারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ শোরগোলও ফেলেছে।
জায়ান্ট বাথিনমাস একটি গভীর সমুদ্রের ক্রাস্টাসিয়ান যা আকারে ২০ ইঞ্চি (৫০ সেন্টিমিটার) অবধি বাড়তে পারে এবং এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম আইসোপড প্রজাতি হিসেবেই বিজ্ঞানে পরিচিত। যদিও এদের সমুদ্রের আরশোলা নাম দেওয়া হয়েছে, তবে এই ১৪ পা ওয়ালা প্রাণীগুলির আসলে কাঁকড়া এবং চিংড়ির মতো অন্যান্য সামুদ্রিক প্রজাতির সঙ্গেই আরও নিবিড়ভাবে মিল রয়েছে।
এই প্রাণীটি, যার মাথা এবং যৌগিক চক্ষু তার ডাকনাম আপাতত ‘দার্থ ভাদার'। সমুদ্রের তলদেশের এই প্রাণী মূলত মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর অবশিষ্টাং খেয়েই বেঁচে থাকে। এগুলি কোনও খাবারা ছাড়াই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে সক্ষম।
ইন্দোনেশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের কাহিয়ো রাহমাদি বিবিসিকে জানান যে নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের ঘটনাটি আকার এবং ইকোসিস্টেমের যেখানে এটি পাওয়া গেছে সেই দিক থেকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
নিউজ ওয়েবসাইট মাদারশিপ অনুযায়ী, ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে এমন আইসোপডগুলিকে ‘সুপারজায়েন্টস' নামে ডাকা হয়। সদ্য আবিষ্কৃত এই প্রাণীটিকে নিয়ে এখন মোট ২০ প্রজাতির দৈত্যকার আইসোপড রয়েছে।
অভিযানের সময় গবেষকরা আরও ১২ টি নতুন প্রজাতিও আবিষ্কার করেছিলেন।
Click for more
trending news