২০০ বছর আগের লকডাউন বনাম ২০২০
কলকাতা: একবার প্রচুর ধারদেনা হয়েছিল বিখ্যাত ঊর্দু কবি মির্জা গালিবের (Mirza Galib)। কোথাও বেরোতেন না তিনি। নিজের ঘরে চুপ করে সারাটা দিন কাটাতেন। তো একবার ইয়াসিন বলে তার এক বন্ধু গালিবকে জিজ্ঞাসা করে কেমন কাটছে তাঁর গৃহবন্দি যাপন? উত্তরে গালিব যা বলেছিলেন, সেটাই উঠে এসেছে কলকাতা (Kolkata)-আসানসোলের (Asansol) তিন বন্ধুর বাড়ি বসে তৈরি ছোট ছবি ‘Quarantine diaries: আট মিনিটের গল্প'-এ। গালিব ২০০ বছর আগে তাঁর ঘরবন্দি জীবনে যেভাবে একাকীত্বের মধ্যে কাটিয়েছিলেন, বর্ণনা বলছে ২০২০-তেও খুব একটা বদলায়নি সেই যাপিত জীবন। লকডাউন (Lockdown) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এভাবেই বাঁধল দুই প্রান্তে থাকা দুই শহরকে।
এমন ধারণা দিয়েছে লেখক সুরেন্দ্র ভার্মার নাটক কয়েদ-এ-হায়াত। তিন বন্ধুর একজন অরিত্রিক ভট্টাচার্য সোশ্যালে ছোট ছবি পোস্ট করার পর জানিয়েছেন, 'অভিনেতা সুব্রত দত্ত এই ফেসবুকেই একটা নাটকের অংশ পাঠ করছিলেন। আরেক বন্ধুর প্রশ্রয়ে ওই অংশের অনুবাদ। সুরেন্দ্র বর্মার ওই নাটকে মির্জা গালিব এক চরিত্র। গালিবের মুখেই তাঁর গৃহযাপনের বর্ণনা। পড়ে অবাক হই, এ তো আমাদেরই কথা!! তারপর আমার আর মধুরিমার কাঁপা কাঁপা হাতে ছবি উঠল। অর্কময় পড়ল, হয়ে গেল গালিব আর আমাদের যাপন। অনুবাদকই আঁকল কয়েকটা ছবি। শব্দ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, মুশকিল আসান পার্থ হালদার, মানে পার্থদা। আর অধিকাংশ শটে পাশে থেকে, যত্ন করে কাকাইকে সাহায্য করল আমার ভাইঝি। শেষে ভুল বানানে ওর নাম আছে। আর বাকিটা এডিট। প্রথমবার নিজের হাতে কাটতে কাটতে কাটতে কাটতে....চলচ্চিত্র।'
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অরিন্দমের আশ্বাস, ‘ঝড় থেমে যাবে'
'কাঁচা হাতে, অপেশাদার কাজ। মোটামুটি দেড় দিনে শুধু মোবাইলে করা। তা বলে সমালোচনায় নরম হতে বলছি না। মতামত জানালে ভালো লাগবে। চলচ্চিত্রের প্রতিটা ভালো মুহূর্ত সবার অবদান, খারাপগুলোর দায় নেহাতই আমার। এই যাপন গালিবের, আমাদেরও।'