This Article is From Jul 09, 2019

আপাত স্বস্তি জোটের ,নিয়ম মেনে ইস্তফা দেওয়া হয় নি,বললেন কর্নাটক স্পিকার

কর্ণাটক সংকট: কংগ্রেস ও জেডিএস থেকে যে সমস্ত বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের মুম্বইয়ের কোনও এক বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়েছে

কর্নাটক সঙ্কট:পদত্যাগ রুখতে আইনি ফাঁকফোঁকর খোঁজার ভাবনা জোট সরকারের

বেঙ্গালুরু/মুম্বই: কর্ণাটকের কংগ্রেস-জনতা দল (সেক্যুলার) জোট সরকার তাঁদের ১৪ জন বিধায়কের পরপর ইস্তফার কারণে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো আশঙ্কায় ভুগছিল (Karnataka Political Crisis)তখনই তাঁদের স্বস্তির খবর শোনালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। স্পিকার রমেশ কুমার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যথাযথ নিয়ম মেনে বিধায়করা ইস্তফা না দেওয়ায় ওই ইস্তফাগুলি গ্রহণ করবেন না তিনি।এ ব্যাপারে রাজ্যপালকে চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, একজন বিধায়কও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি।তবে ওই ১৪ বিধায়কের ইস্তফা স্পিকার গ্রহণ না করায় কিছুটা হলেও হাতে সময় পেল শাসক জোট।তবে আশঙ্কার কথা এই যে মঙ্গলবারের এক বৈঠকে সমস্ত বিধায়কের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা সত্ত্বেও এক ডজন কংগ্রেস বিধায়ক উপস্থিত হন নি, তাঁদের মধ্যে ৩ জন অসুস্থতার দোহাই দিয়েছেন।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

১. ১৩ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা যখন শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দেন সেই সময় স্পিকার তাঁর অফিসে ছিলেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার জানান তিনি সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও বলেন, "যথাযথ আইন মেনে পদত্যাগপত্র জমা দেননি বিধায়করা। তাই তাদের আবার এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে এবং পদত্যাগপত্র আমাকে দিতে হবে। ১৩টি পদত্যাগপত্রের মধ্যে ৮টিতেই নিয়ম মানা হয় নি"।
 

২. তবে শেষপর্যন্ত যদি ওই পদত্যাগগুলি গৃহীত হয় তবে ২২৪ আসনের রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১১৮ সদস্যের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১০২-এ দাঁড়াবে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে ১১৩ থেকে ১০৫ সংখ্যা প্রয়োজন। ওদিকে বিজেপির ১০৫ বিধায়কের সঙ্গে যদি ২জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন যোগ হয় তাহলে বিজেপির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে ১০৭ জন সদস্য থাকবে।
 

৩. ওদিকে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে দলের সমস্ত বিধায়করা যোগ না দেওয়ায় বেজায় চটেছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। ওই বিধায়কদের কড়া ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সে ব্যাপারে স্পিকারকে বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।সিদ্দারামাইয়া বলেন, শুধু যে ওই বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা করার জন্যই অনুরোধ করবেন তা নয়, পাশাপাশি তাঁরা যাতে ছয় বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন সে ব্যাপারেও নির্দেশ দিতে বলবেন তিনি।মঙ্গলবার সকালে, ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন।
 

৪. কংগ্রেসের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিধায়ক সৌম্য রেড্ডি বলেন তিনি পদত্যাগ করছেন না।তবে জেডিএস-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "আমি সত্যিই নিশ্চিত নই"।শনিবার ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য রেড্ডির বাবা রামালিঙ্গা রেড্ডিও। এই প্রসঙ্গে সৌম্য রেড্ডি এনডিটিভিকে বলেন, "আমার বাবা পদত্যাগ করেছেন কারণ জোটের দুমুখো নীতির জন্যে বিরক্ত ছিলেন তিনি।"
 

৫. কংগ্রেস (Congress) ও জেডিএস (JDS) থেকে যে সমস্ত বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের নিয়ে গিয়ে মুম্বইয়ের কোনও একটি বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়েছে।
 

৬. কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের যে সমস্ত বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস ও জেডিএস।আরও পদত্যাগ রুখতে দলের বাকি বিধায়কদের কোদাগুতে প্যাডিংটন রিসোর্টে রাখা হয়েছে।
 

৭, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজের মার্কিন সফর কাটছাঁট করে ফিরে এসেছেন কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী।এনডিটিভিকে তিনি জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন করা হবে। তবে সরকার টিকে যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
 

৮. গত মাসে দুই নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্করকে মন্ত্রী বানানোর পর থেকেই জোটে সমস্যার সূত্রপাত। তাঁরা হঠাৎই পদত্যাগ করেন ও বিজেপিকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন।  
 

৯. কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বিধায়কদের এই গণইস্তফার পিছনে বিজেপি ও কর্নাটকে ওই দলের প্রধান বিএস ইয়েদুরাপ্পার হাত আছে বলে অভিযোগ করেন। ওই পদত্যাগী বিধায়কদের বিশেষ বিমানে মুম্বই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর প্রতিবাদে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউটও করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
 

১০. গত বছর কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ বিজেপি কর্ণাটক সরকারের এই টালমাটাল অবস্থার পেছনে তাঁদের যোগসাজশের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়ে বিজেপি দাবি করে বর্তমান জোট সরকার শাসন করার নৈতিক ক্ষমতা হারিয়েছে।



Post a comment
.