ভারতের ৫০% আকাশপথ ব্যবহারের জন্য মুক্ত। শনিবার দাবি মকরেন অর্থমন্ত্রী।
নয়া দিল্লি: বিমানের জ্বালানি আর যাত্রা সময় কমাতে ভারতের আকাশপথের (Indian Air Space) বিধিনিষেধ লঘু করা হবে। শনিবার এমন ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। এদিন তিনি ছয়টি বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০ লক্ষ-কোটির আর্থিক প্যাকেজের ব্যায়-বরাদ্দ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে শনিবার অর্থাৎ চতুর্থ দিনও সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার আকশপথে লাগু থাকা বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অসামরিক বিমান পরিবহণ শিল্পের (Aviation Sector) প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে। তিনি বলেন, "শনিবার পর্যন্ত ভারতের ৬০% আকাশপথ ব্যবহারের জন্য খোলা। এই হার ক্রমে বাড়বে। এর জেরে জ্বালানির সঙ্গে যাত্রাপথের সময়ও কমবে। ফলে, আর্থিক লাভের মুখ দেখবে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্র ভারতের কাছে অন্যতম সক্ষম একটা মাধ্যম।"
গরিবদের এই মুহূর্তে টাকা দরকার, ঋণ নয়, অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়ে আরও ভাবুন: রাহুল গান্ধি
বিশ্বমানের বিমানবন্দর গড়তে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র।সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে দেশের ছয়টি বিমানবন্দরকে নিলামে তোলা হবে। এর আগে ১২ টি বিমানন্দর বিলগ্নিকরণ করে ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। বাড়ানো হল প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশী বিনিয়োগের সর্বাধিক মাত্রা। শনিবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আগের ৪৯% থেকে বাড়িয়ে ৭৯% করা হল এফডিআই মাত্রা।
জানা গিয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এদিন নির্মলা সীতারমণ বলেছেন; "যে অস্ত্রগুলো ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি সম্ভব; সেগুলোর আমদানি বন্ধ করবে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটা তালিকা তৈরি করছে। সেই তালিকা মেনে আমদানিকৃত দেশকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে।"
তিনি আরও জানিয়েছেন; দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রগুলোর স্পেয়ার পার্টস তৈরি করবে দেশীয় সংস্থা। এই উদ্যোগ প্রতিরক্ষা আমদানি খরচ কমাবে।