এদিকে, সুশান্ত সিং রাজপুতের বোনের আচরণের জন্য দুঃখিত ছিলেন খোদ অভিনেতা
নয়াদিল্লি: সংবাদমাধ্যমের অযৌক্তিক বিচারে আমাকে অপরাধী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। সোমবার এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শীর্ষ আদালতে দরবার করেন তিনি। ইতিমধ্যে বলিউড এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জোড়া তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। ইডি খতিয়ে দেখছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলার ক্ষেত্রটি। পাশাপাশি সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। বিহার সরকারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে তিনি রাজনৈতিক বলির পাঁঠা প্রতিপন্ন হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে রিয়ার আবেদন, "আমাকে সুরক্ষা দিক আদালত। আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ও আমার ব্যক্তি পরিসর লঙ্ঘিত।"
এর আগে একই ভাবে মিডিয়া ট্রায়ালের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন টু-জি ও আরুষি-কাণ্ডের অভিযুক্তরা। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখও আছে রিয়ার আবেদন। এদিকে, সোমবার ফের সপরিবারে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। আছেন তাঁর ভাই ও বাবা। এযাবৎকাল ইডির তদন্তে উঠে আসছে অস্বাভাবিক হারে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ভাবে বেড়েছে রিয়ার সম্পত্তি। এফডি কিংবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে এই অভিনেত্রীর।
২০১৮-১৯ সালে এই অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ১৮ লক্ষ টাকা। গত দু'বছরে সে হারে আয় না বাড়লেও নানা মাধ্যমে বিনিয়োগ বেড়েছে। সেই বিনিয়োগের সূত্র খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।
এদিকে, সুশান্ত সিং রাজপুতের বোনের আচরণের জন্য দুঃখিত ছিলেন খোদ অভিনেতা। রবিবার একটা স্ক্রিনশট পোস্ট করে এই দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে রাজপুত পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেছেন, "অভিনেত্রী রিয়া একবার অভিযোগ করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা সিং তাঁকে নিগ্রহ করেছিলেন। এই ঘটনার সূত্র ধরে প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে একপ্রস্থ বিতণ্ডা হয়েছিল তাঁর বোনের।" সেই বিতণ্ডার একটি হোয়াটজঅ্যাপ স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন রিয়া। সেই স্ক্রিনশটে লেখা, "প্রিয়াঙ্কা তুমি এই লজ্জাজনক কাজ করেছো। তারপর এটা থেকে বাঁচতে মত্ত অবস্থায় আবার নিগ্রহও করেছো। ঠিক আছে আমার আদরের বোন আমার মা আছেন, ভগবান আছেন। এরা আমাকে যা শিখিয়েছেন, তার বিপরীতে গিয়ে তুমি এই অপরাধ করেছো। যদি তুমি তোমার ইগোতে অন্ধ থাকো, তাহলে ভগবান তোমায় আশীর্বাদ করুক। প্রকৃতি ঠিক করুক কোনটা ঠিক কাজ।"