Read in English
This Article is From Apr 11, 2019

প্লাস্টিকের বদলে কলাপাতায় মুড়ে আনাজ বিক্রি, পরিবেশ বাঁচাতে দিশা দেখাচ্ছে এই সুপারমার্কেট

একটি ফেসবুক পোস্টের সৌজন‌্যে তাদের সেই সবুজ উদ্যোগের কথা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement
অফবিট

রিম্পিং সুপারমার্কেট চেনে প্লাস্টিকের বদলে কলাপাতার ব্যবহার শুরু হয়েছে

Highlights

  • প্লাস্টিকের বদলে কলাপাতায় মুড়ে আনাজ বিক্রি করা হচ্ছে
  • থাইল্যান্ডের রিম্পিং সুপার মার্কেটে এমন উদ্যোগ দেখা গিয়েছে
  • বিশ্বের সব প্রান্তে এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে

পৃথিবীকে আরও বেশি করে বাসযোগ্য তোলার পথে হাঁটার চেষ্টা করছে কমবেশি সকলেই। আর সেই উদ্দেশ্যে একটা দারুণ পদক্ষেপ করলো থাইল্যান্ডের সুপারমার্কেট। দূষণ রোধে নানা পদক্ষেপের জন্য ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড বিপুল প্রশংসিত হয়েছে। চিয়াং মায়ের রিম্পিং সুপার মার্কেট এ বার এক ধাপ এগিয়ে প্লাস্টিক বর্জনের পথে হেঁটে আনাজ ও সব্জি মুড়ে দেওয়ার জন্য কলাপাতার ব্যবহার শুরু করলো। বিশ্ব জুড়ে এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। আর একটি ফেসবুক পোস্টের সৌজন‌্যে তাদের সেই সবুজ উদ্যোগের কথা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছে।

নাগপুর এখনই ৪৪ ডিগ্রি! দেশের উষ্ণতম ১০ টি শহরের তালিকায় আপনার শহর নেই তো?

ফেসবুক পোস্টটিতে এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ‘‘পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের বদলে জৈব কলাপাতার ব্যবহার দেখে ভিতরে একটা আনন্দের আগুন জ্বলে উঠলো। দোকানদারেরা ক্রেতাদের অবশ্য ব্যাগ কিনে নেওয়া বা বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পরামর্শও দিচ্ছেন। জনপ্রিয় সব্জির দোকানগুলি কলাপাতায় মুড়ে সব্জি বিক্রি করছে। আর সুতো দিয়ে তা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।''— লিখেছে দ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।

তাদের এই পোস্টটি ১৭০০০ বার শেয়ার করা হয়েছে। প্রায় ৬০০ ইতিবাচক মন্তব্যও পড়েছে পোস্টটিতে।

Advertisement

একজন লিখেছেন, ‘‘এই আইডিয়াটা খুব ভালো। আর কোনও প্লাস্টিক ব্যাগের দরকার নেই।'' ‘‘বড় উদ্দেশ্যের জন্য ছোট্ট পদক্ষেপ, আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আশা জাগাচ্ছে।'' বলেন আর একজন। এই পরিবেশবন্ধু ভাবনা টুইটারেও প্রশংসার ঝড় তুলেছে।  

১৯৫০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৮.৩ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক ব্যাগ বিশ্ব জুড়ে উৎপাদিত হয়েছে। ইউএনও-র মতে প্লাস্টিক ব্যাগের এই বাড়বাড়ন্ত পরিবেশকে এক দুঃসহ বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমুদ্রের দূষণ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

অনেকেরই আশা, এই দুঃসময়ে এমন ছোট্ট একটি উদ্যোগ দিশা দেখাবে পৃথিবীকে।

Advertisement

Advertisement